একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে, চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এসএসসি সূত্রের খবর, প্রতিদিন গড়ে ১০০০-১৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য। সুষ্ঠু এবং দ্রুত যাচাইকরণের জন্য একাধিক টেবিলের ব্যবস্থা রাখছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সকাল ৯.৩০ থেকে শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ১৫টি টেবিলের প্রত্যেকটিতে ১০০ জন করে প্রার্থীর নথি যাচাই করা হবে।
নথি যাচাইয়ের জন্য প্রার্থীদের কোন কোন নথি নিয়ে যেতে হবে তা সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং ই-ইনফরমেশন শিট। যেখানে রোল নম্বর আইডি লেখা আছে তা সঙ্গে রাখতে হবে। সচিত্র পরিচয়পত্র— আধার, প্যান, পাসপোর্ট এবং জাতিগত শংসাপত্র। বিশেষ ভাবে সক্ষম বা অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটি বৈধ কাগজের স্বাক্ষর তারিখ ২১ জুলাই ২০২৫-এর আগের হতে হবে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র ও মার্কশিট অরিজিনাল রাখতে হবে প্রার্থীদের। টেট পাস সার্টিফিকেট এবং কোথা থেকে এই শিক্ষক শিক্ষণের যাবতীয় নথিও আনতে হবে সঙ্গে। শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে সে সব প্রতিষ্ঠানের তরফে দেওয়া চিঠি সঙ্গে রাখতে হবে। সমস্ত নথির আসল স্ব-প্রত্যয়িত প্রতিলিপিও সঙ্গে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই নথি যাচাইয়ের কাজ। প্রথম দিন ডাকা হচ্ছে বাংলা বিষয়ের জন্য তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের। প্রায় ৭১০ চাকরিপ্রার্থীকে প্রথম দিন ডাকা হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগে মোট শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬ জন। তার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ১২ হাজার ৫১৪। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিলেন দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,১২০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন। ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন প্রায় ২০ হাজার ৫০০ জন।