এসএসসি প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে ‘অযোগ্য’ চাকরিহারার নাম! সে প্রসঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তুললেন আইনি পরামর্শের কথা। কারণ ওই প্রার্থী বিশেষ ভাবে সক্ষম।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য জানান, ‘অযোগ্য’ তালিকায় নাম থাকার পরও নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে যে প্রার্থী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন, তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম। ব্রাত্য বলেন, “বিশেষ ভাবে সক্ষম হলে ‘দাগি’ প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারেন কি না, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী বলছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সে জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। তার পর পদক্ষেপ করা হবে।” পাশাপাশি যে প্রার্থীর জন্ম ১৯৯৭ সালে, অথচ, অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পেয়েছেন তাঁকে নিয়েও ব্রাত্য সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার কথা জানান।
এক দিকে সোমবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে শিক্ষকদের তরফে। মামলাকারীদের দাবি, ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় একাধিক ‘দাগি অযোগ্য’-এর নাম রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাকিরা। এমনকি, অভিযোগ, প্রাথিমক স্কুলে চাকরি করেছেন এমন অনেকেই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার নিরিখে অতিরিক্ত ১০ নম্বর পেয়ে গিয়েছেন।
অন্য দিকে, নতুন চাকরি প্রার্থীরাও আন্দোলনে নেমেছেন সোমবার। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া ১০ নম্বর বাতিল করতে হবে এবং প্রায় এক লক্ষ শূন্যপদ বৃদ্ধি করতে হবে। শূন্যপদ বৃদ্ধির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান ব্রাত্য।
তবে নতুন চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি তিনি। ব্রাত্যের দাবি, এ প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানেন না। কারণ, তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। তিনি বলেন, “নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কী চান, তা পরিষ্কার করে এখনও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কিছু জানাননি। আগে অভিযোগ জমা পড়ুক, তা পর তা নিয়ে আলোচনা হবে।”
তিনি দাবি করেন, যোগ্যদের জন্য বাড়তে পারে শূন্যপদ। তাঁর কথায়, “শূন্যপদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিসভা সব দিক খতিয়ে দেখবে। ‘যোগ্য’রা সত্যি কেউ বাদ গেল কি না আমরা দেখব। তাঁদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল।”