বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এবং ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) উদ্যোগে উপাচার্যদের নিয়ে দু'দিন ব্যাপী সম্মেলন হবে গুজরাতে। সেখানে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিত থাকার কথা। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতার মাঝে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে আচার্য তথা রাজ্যপাল নিযুক্ত বহু উপাচার্য রয়েছেন এখনও। তাঁরা কী করবেন তা আমাদের জানা নেই। স্থায়ী নিযুক্ত উপাচার্যেরা এ ব্যাপারে দফতরকে জানালে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।’’
আরও পড়ুন:
রাজ্যে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এখনও ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বিচারাধীন রয়েছে। আর এই ১৭ জন উপাচার্যই অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করেছে রাজভবন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত উপাচার্যদের নাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই ১৭ জনের নাম পর্যালোচনা করবে আদালতের নির্দেশে গঠিত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের কমিটি। কমিটির সুপারিশ মেনে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির তিন জনের নামের প্যানেল প্রথমে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি তাঁর পছন্দ জানিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সেই পছন্দেই সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু বাকি ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থীর বিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানিয়েছেন। এই টানাপড়েনের ফলে যাদবপুর, কলকাতা-সহ রাজ্যের মোট ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে।