Advertisement
E-Paper

‘ক্যাম্পাসের শালীনতা নষ্ট করছেন ছাত্রীরা’, মত্ত ছাত্রের হেনস্থা ঘিরে অশান্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে চার ছাত্রকে। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দু’পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপোর্টে দেবেন সদস্যরা। তার পর চূড়ান্ত পদক্ষেপ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:২০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

ফের অশান্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রীদের উদ্দেশে কটূক্তি এবং এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্নাতক চতুর্থ সেমেস্টারের আর এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাময়িক ভাবে অভিযুক্ত চার ছাত্রকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাত ৮টার পর ক্যাম্পাসে ছিলেন কলা বিভাগের কিছু ছাত্র-ছাত্রী। অভিযোগ, সে সময় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্র সৃজন সর্দার এবং তাঁর দলবল কটূক্তি করতে শুরু করেন। এমনকি, ওই ছাত্রীরা রাতে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ‘নষ্ট’ করছেন বলেও দাবি করেন সৃজন। এর পরই শুরু হয় বচসা। কয়েক জন ছাত্রের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সৃজন ও তাঁর সহযোগী ছাত্রেরা। নিরাপত্তারক্ষীরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি।

ঘটনায় জখম হয়েছেন কয়েক জন ছাত্র। তাঁদের মধ্যে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “প্রথমে মত্ত অবস্থায় সৃজন কটূক্তি করেছিল। একপ্রস্ত হাতাহাতির পর শিক্ষকেরা এসে মধ্যস্থতা করেন। কিন্তু তাতেও ও দমেনি। ফের ইউনিয়ন কক্ষে ঢুকে অশালীন আচরণ করতে শুরু করে।”

অভিযোগ, ইউনিয়ন কক্ষে ঢুকে কটূক্তি করলে ছাত্রীরাই সৃজনকে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দেওয়ার দাবি করেন। সে সময় তাঁদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও উঠেছে সৃজনের বিরুদ্ধে। এ সময়ই ইন্দ্রানুজের হাতে কামড় বসান তিনি, চোখে নখ দিয়ে আঁচড়ে দেন বলে অভিযোগ।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পড়ুয়ারা। তার পরই তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “ক্যাম্পাসের মধ্যে মদ্যপান, ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ ও মারামারি কোন‌ও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। তার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

তদন্ত চলার সময়, আগামী পাঁচ দিন সৃজন-সহ চার ছাত্রকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ করেছেন কর্তৃপক্ষ। বাকি চার ছাত্র হলেন, অমিত ধীবর, ধ্রুব মাহাতো, পৃথ্বীশ দাস।

সৃজন সর্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। বছরখানেক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তুলনামূলক সাহিত্যের এক ছাত্রকে মারধরের। সে বার মাথা ফেটেছিল ওই ছাত্রের, সেলাই হয়েছিল ১৭টি। দুর্গাপুজোর সময় মত্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর, মোটর বাইক ভাঙচুর, কালীপুজোর সময় ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Jadavpur University Moral Policing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy