কাজ শিখে পড়াশোনা নাকি পড়াশোনা শিখে কাজ— সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের পরই কাজের দিকে ঝুঁকছে পড়ুয়ারা, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে করতেই কাজ শিখে নিচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে ইন্টার্নশিপের পাশাপাশি, বর্তমানে ক্যাপস্টোন প্রজেক্ট-ও সমান ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাজ শেখা বা গবেষণা করা— সবেরই সুযোগ বর্তমানে পাওয়া যায়।
ইন্টার্নশিপ কী?
কোনও সংস্থার অধীনে কাজ শেখার পদ্ধতিকে ইন্টার্নশিপ বলা হয়। ক্লাসরুমে যা পড়ানো হয়েছে, যা শেখার সুযোগ রয়েছে— তা চাকরির ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োগ করা যায়, তারই প্রশিক্ষণ চলে ইন্টার্নশিপে। এ ছাড়াও অফিসের ঘেরাটোপে কাজের পরিবেশ, সেখানকার নিয়মকানুন সম্পর্কেও পড়ুয়াদের শেখানো হয়।
আরও পড়ুন:
ক্যাপস্টোন প্রজেক্ট কী?
পড়াশোনা করে কতটা জানা গেল, কী কী শেখা গেল— তা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে ক্যাপস্টোন প্রজেক্ট-এ। মূলত স্কুল, বা কলেজের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর এই বিশেষ প্রকল্পে কাজ করা যায়। কোনও বিষয়ে গবেষণা করে, কোনও বিশেষ সমস্যার সমাধান করা যাবে কি না, তার রিপোর্ট তৈরি করতে হয় এই প্রকল্পে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ যন্ত্র বা তার প্রোটোটাইপ তৈরিও করার সুযোগ থাকে।
ইন্টার্নশিপ যেমন হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ দেয়, ক্যাপস্টোন প্রজেক্টের ক্ষেত্রে পড়ুয়া তার শেখার বিষয়টি কতটা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারছে তার মূল্যায়ন করা যায়। কিন্তু দু’টি বিষয়ই কাজ শিখতে, কাজের পরিবেশ সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
তবে হাতেকলমে কাজ শেখার ক্ষেত্রে সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রকল্পে কাজের বিষয়টি পুরোপুরি ভাবেই পড়ুয়াদের নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। কিছু নির্দিষ্ট কাজ বাদে ইন্টার্নশিপে কাজের বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে। তবে, ক্যাপস্টোন প্রজেক্টের ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় নিয়ে চর্চার সুযোগ থাকে। সময়ের সীমাবদ্ধতা দু’ক্ষেত্রে আলাদা।
ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার পর শংসাপত্র পাওয়া যায়, কিছু ক্ষেত্রে ‘এক্সপেরিয়েন্স লেটার’ও মেলে। প্রকল্প শেষ হলে রিপোর্ট তৈরি, তার মডেল পেশ করার পর প্রেজেন্টেশন সম্পূর্ণ হয়। তবে, কাজ শেখা বা নিজের মেধার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী ক্ষেত্রে কাজে লাগে।