দু’দফায় কাউন্সেলিংয়ের পরেও রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রয়ে গেল ফাঁকা আসন। এ বার আসনগুলি বিকেন্দ্রীকরণ করা হল। অর্থাৎ এ বার কলেজগুলি তাদের মতো করে ভর্তি করতে পারবে। ৭ নভেম্বরের মধ্যে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
১০ অক্টোবর শেষ হয়েছে সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া। তবে জিটিএ অধীনস্থ ন’টি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এই সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা দফতরের। ইতিমধ্যেই আশুতোষ কলেজ-সহ সহ বেশ কিছু কলেজ নিজেদের পোর্টাল খুলে আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। আবার বেশ কিছু কলেজ সেই প্রক্রিয়া শুরু করবে। দু'দফা কাউন্সেলিংয়ের পর কলেজে আসন ফাঁকা রইল ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির জন্য অভিন্ন পোর্টাল চালু করা হয়েছিল জুন মাসে। দু’দফায় কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৮ জুন থেকে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে প্রথম দফায় কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০৪ জন পড়ুয়া। মোট আসন রয়েছে ৯,৩৬,২১৫।
প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের শেষে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ অগস্ট। কিন্তু ওবিসি জটের কারণে দিন পরিবর্তন করা হয়। জানানো হয় ক্লাস শুরু হবে ৭ অগস্ট। এর পর ফের ওবিসি মামলার কারণে ভর্তির প্রক্রিয়া থমকে যায়। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে প্রথম দফার ক্লাস শুরু হয় ২৯ অগস্ট থেকে।
কলেজে ফাঁকা আসনগুলি এর পর আপগ্রেডেশন রাউন্ডে চলে যায়। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং। এই দফায় পুরনোরা ছাড়াও নতুন করে আবেদন করেন ৮৯৮৩ জন পড়ুয়া। দ্বিতীয় দফার শেষে স্নাতকে মোট ৩৯ হাজার ৭৩ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং মিলিয়ে পোর্টালে মোট ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৩০১ পড়ুয়ার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৭৭ জন। অর্থাৎ মোট আসনের ২৮.৮১ শতাংশ পূরণ হয়েছে। গত বছর ভর্তির সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজারের মতো।
উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পরীক্ষার্থী চার লক্ষের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওবিসি জটিলতার কারণে এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। বহু মেধাবী পড়ুয়া অন্য রাজ্যে বা অন্য কোনও কোর্সে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। তবে আমরা যা ভেবেছিলাম তার থেকে বেশ খানিকটা বেশি আসনই ভর্তি হয়েছে।’’