মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষায় ঘটনার ঘনঘটা। উত্তর দিনাজপুরের একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন খাতাই ছিঁড়ে ফেলল এক পরীক্ষার্থী। তার নামে পরীক্ষাকেন্দ্রের তরফে পর্ষদের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেলান হাই স্কুলের ওই পড়ুয়ার সিট পড়েছিল সূর্যপুর হাই স্কুলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা দু’টকরো করে জমা দেওয়ায় বিষয়টি লক্ষ্য করেন ইনভিজ়িলেটররা। তবে, সেই পরীক্ষার্থী অন্য পরীক্ষা দিতে পারবে।
শনিবারেও তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মিলল মোবাইল। ওই তিন জনের পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে। হুগলির রিষড়া স্বতন্ত্র হিন্দি বিদ্যালয়, কলকাতার বদরতলা হাই স্কুল এবং পুরুলিয়া নেতাজি বিদ্যাপীঠের ওই তিন পড়ুয়ার কাছ থেকে পরীক্ষা চলাকালীনই মিলেছে মোবাইল।
তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি ছিল হুগলির রিষড়া ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র হাই স্কুল, কলকাতার বটতলা হাই স্কুল এবং পুরুলিয়ার নেতাজি বিদ্যাপীঠ। এদের প্রত্যেকের থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই মোবাইল উদ্ধার করেন ইনভিজ়িলেটররা।
আরও পড়ুন:
প্রশ্ন ফাঁস রুখতে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে কিউআর কোডের সঙ্গে উল্লম্ব ভাবে সিরিয়াল নম্বর-সহ ‘ওয়াটার মার্ক’ রাখা হয়েছে। এর ফলে কেউ কিউআর কোড ঢেকে ছবি তোলার চেষ্টা করলেও ‘ওয়াটার মার্ক’-এর সাহায্যে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব, কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ মাধ্যমিকে ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল।এ ছাড়াও পর্ষদ জানিয়েছে, মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণবশত ৬৮ জন পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে।