একাদশের সেমেস্টার পিছু পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ ছাড়াও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে কত টাকা ফি হিসাবে নিতে হবে, তাও স্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে স্কুলগুলি নিজের সুবিধার্থে পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা কিংবা তারও বেশি অর্থ ফি হিসাবে ধার্য করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনও ফি-ই নেওয়া হত না। স্কুলভিত্তিক ফি সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করতে পরীক্ষা-পিছু ৭০ টাকা ফি হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ওই একই ফি নিতে হবে। তবে ওই খাতে প্রাপ্ত টাকা পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনও বিভাগের জন্য খরচ করা যাবে না।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদই একাদশের পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তারপর স্কুলগুলিকে একাদশের পরীক্ষার দায়িত্বভার দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু কিছু স্কুলে পরীক্ষার জন্য আলাদা করে অতিরিক্ত অর্থ ফি হিসাবে চাওয়া হয়েছে, আবার কোনও ক্ষেত্রে ফি দিতেই হত না। তাই পরীক্ষা বাবদ নির্দিষ্ট খরচ পরীক্ষার্থী পিছু ঠিক করে দেওয়া হল।”
শিক্ষা সংসদের সিদ্ধান্তকে শিক্ষক সংগঠনের একাংশ স্বাগত জানিয়েছে। তবে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের অভিযোগ, কিছু স্কুল পরীক্ষার খাতে খরচের জন্য বিপুল অর্থ দাবি করে এসেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ওই টাকা পরীক্ষার খাতেই খরচ করা হত না। তবে তাঁর আশা, শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্ত সকলের জন্য কার্যকরী হওয়ায় স্কুলগুলিতে সমতা বজায় থাকবে এবং অভিযোগও কম আসবে।
তবে, পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা জানিয়েছেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত যে ফি ধার্য করা হয়েছে তাতে ওএমআর শিটে পরীক্ষা ব্যবস্থা-সহ অন্যান্য খরচ চালানো কঠিন। তিনি আরও বলেন, “যে সমস্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম, সেই স্কুল কি এই টাকায় পরীক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে কি? বিষয়টি শিক্ষা সংসদের বিবেচনা করা উচিত।”