Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
WBCHSE class 11 Exam rules

ওএমআরশিটে পরীক্ষায় নানা বিভ্রান্তি পড়ুয়াদের, উপস্থিতি নিয়েও কড়া স্কুলগুলি

ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকার জন্য বেশ কিছু স্কুল একাদশে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেয়নি পড়ুয়াদের।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:০৩
Share: Save:

চলতি মাসের ১৩ তারিখ, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা। এ বছরই প্রথম ওএমআরশিটে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। বেশ কিছু স্কুল থেকে ওএমআর শিট-এ পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নানা অসুবিধার অভিযোগ জমা পড়েছে শিক্ষা সংসদের কাছে। পাশাপাশি, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকায় বেশ কিছু স্কুল একাদশে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেয়নি সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা চাই ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে প্রতিদিন ক্লাস করুক। শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী ৭০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক প্রত্যেক সিমেস্টারে। বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। ৫০ শতাংশ হলে অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। বেশ কিছু স্কুল সেই বিধিকে মান্যতা দিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। ওএমআরশিট নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু অভিযোগ এসেছে। স্কুলগুলি বিষয়টি দেখে নেবে। মূল্যায়নের পুরো বিষয়টিই স্কুলের হাতে রয়েছে।”

প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেওয়া ওএমআর শিটের রেপ্লিকা কপিতে হবে, তা আগে থেকেই জানত স্কুলগুলি। বহু স্কুল এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল পড়ুয়াদের জন্য। তার পরেও বেশ কিছু স্কুলের বক্তব্য, পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীরা মার্কিং করার সময়ে কিছু ক্ষেত্রে ভুল করেছে। সেই সংখ্যাটা শতাংশের নিরিখে কম হলেও স্কুলগুলি চায় তারা যেন সঠিক ভাবে নতুন পদ্ধতি বুঝে নেয়। যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে তাদের কোন‌ও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।

কল্যাণী পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের সহ- প্রধান শিক্ষক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “ওএমআরশিটে পরীক্ষায় কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের বারবার অনুশীলন করতে হবে এবং এই নয়া পদ্ধতির সঙ্গে দ্রুত নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তবে উপস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত স্কুলগুলির নিজস্ব। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”

শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, দ্বাদশ শ্রেণিতে ওএমআরশিটে পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। সেখানে পদ্ধতিগত ভুল থাকলে সঠিক উত্তর লিখেও অকৃতকার্য হতে পারে পড়ুয়ারা। অনেকেই রোল নম্বর লিখতে গিয়ে ভুল ঘরে পূরণ করছেন। আবার উত্তর ঠিক জানা সত্ত্বেও ওএমআরশিটে লেখার সময়ে ভুল ঘরে লিখছে। এতে পরীক্ষার্থীদের অনেকটাই সময় নষ্ট হচ্ছে। বেশকিছু স্কুল ভুলটা কেটে পড়ুয়াদের সংশোধন করে নতুন করে লিখতে বলেছে। যেহেতু এই পরীক্ষার কম্পিউটার ভিত্তিক মূল্যায়ন হবে না, তাই এটা সম্ভব হয়েছে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “আমরা আগেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলাম পড়ুয়াদের জন্য। স্কুলগুলিকে আর‌ও বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পরীক্ষার হলে গোটা প্রক্রিয়া নির্ভুল হয়। উপস্থিতির হার সকলের ক্ষেত্রে ঠিক ছিল না। তবে আমরা সবাইকেই পরীক্ষায় বসতে দিয়েছি। পড়ুয়াদের বলা হয়েছে, মার্চ মাসে দ্বিতীয় সিমেস্টারে যেন কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী ন্যূনতম উপস্থিতি থাকে। এটা তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।”

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, যে সমস্ত পড়ুয়াকে প্রথম সিমেস্টারে বসার অনুমতি দেয়নি স্কুল, তারা দ্বিতীয় সিমেস্টারে বসতে পারবে। তবে তার সঙ্গে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষাও দিতে হবে তাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WBCHSE Exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE