Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
WBCHSE Semester System Class 11

বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের রাইটারের সুবিধা এ বার স্কুলের হাতে

সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে যাতে কোন‌ও অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে তৎপর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ১৮ দফা গাইড লাইন পাঠানো হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সমস্ত স্কুলগুলিতে ।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪০
Share: Save:

শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন সিলেবাসে নয়া পদ্ধতিতে এ বছরের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে যাতে কোন‌ও অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে তৎপর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ১৮ দফা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সমস্ত স্কুলগুলিতে ।

এ বছর থেকে চালু হয়েছে সিমেস্টার পরীক্ষা ব্যবস্থা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ২ বছরে মোট চার বার পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা নেবে স্কুলগুলি। যে সমস্ত স্কুলগুলিতে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়া রয়েছে, তাদের যাতে পরীক্ষা দিতে কোন‌ও অসুবিধা না হয়, তাই স্কুলগুলিকে গাইডলাইন বেঁধে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

নারায়ণ দাস বাঙুর ইনস্টিটিউশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের পাশাপাশি সরলিকরণ করা হয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষা ব্যবস্থা। আলাদা করে কাউন্সিলের কাছে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। স্কুলগুলি নিজেরা এই সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।”

শিক্ষা সংসদের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেল তিনটে থেকে চারটে ১৫ পর্যন্ত মোট ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরীক্ষা। বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দিতে হবে। ভিস্যুয়াল ইম্পেয়ার্ডদের ক্ষেত্রে আতস কাঁচের প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষার বিশেষ নির্দেশিকা ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে রাখতে হবে পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য। মূক-বধির পরীক্ষার্থীদের জন্য সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে স্কুলগুলিকে। সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষা হলে ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ থাকলেও বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে সংসদ। পাশাপাশি আলাদা করে উত্তর লেখার জন্য রাইটারের ব্যবস্থা স্কুল নিজে থেকেই করতে পারে, পড়ুয়ার প্রয়োজনের ‌উপর নির্ভর করে। এ রকম প্রায় ১৮ দফা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের কাছে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “কাউন্সিলের এটা সদর্থক পদক্ষেপ। শেষ মুহূর্তে রাইটার নিয়ে বহু বার পরীক্ষার আগে সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্কুলগুলির হাতে দায়িত্ব থাকার ফলে অনেকটাই সমাধান হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WBCHSE Semester System in Higher Secondary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE