বইয়ের জগৎ বড়ই বিচিত্র। কখনও কঠিন অঙ্কের সূত্রের খোঁজ দেয়, আবার কখনও পৃথিবীর রহস্যের সন্ধান মেলে। স্কুলের গ্রন্থাগারে পুরনো বইয়ের সোঁদা গন্ধ হোক বা কলেজের নতুন বইয়ের মন কেমন করা গন্ধ— সবটাই পড়ুয়াদের কাছে মজার ব্যাপার। সেই আনন্দ দ্বিগুণ করতে কেন্দ্রের তরফে শিক্ষা প্রাঙ্গনে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাছাই করা স্কুলগুলিতে গল্প, কবিতা, ছবির বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সম্ভার নিয়ে মেলা শুরু হয়েছে। সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় শাখার অফিসার-ইন-চার্জ আশিস কুমার সিংহ জানিয়েছেন, বইয়ের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বই ছুঁয়ে বা পড়ে দেখার অভ্যাস তৈরি করতেই এই মেলার আয়োজন বিভিন্ন স্কুলে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যও একাধিক বিষয়ের বইয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
রাজ্যের যে সমস্ত স্কুলে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেগুলি হল— কলাগাছিয়া কেকে হাইস্কুল, সালকিয়া অ্যাংলো সংস্কৃত হাইস্কুল, শিবপুর ভবনী বালিকা বিদ্যালয়, বিক্রম বিদ্যালয় (ব্রাঞ্চ), শিবপুর হিন্দু গার্লস হাই স্কুল, ব্যাঁটরা এমএসপিসি হাইস্কুল, হাওড়া যোগেশচন্দ্র গালর্স হাইস্কুল এবং যাদবপুর বিদ্যাপীঠ।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠে বইমেলায় পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যের কথায়, “বই-এর মেলা বসায় ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট উৎসাহ পেয়েছে। স্কুলের ক্লাসের ফাঁকে অন্য রকম বই পড়ার অভ্যাস ওদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে অনেকটাই সাহায্য করবে।” ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টাকে তিনি সাধুবাদও জানিয়েছেন।
জুলাই মাসেই টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস বয়েজ় স্কুল, বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুল, বরিশা জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠ, গার্ডেনরিচ মুদিয়ালি গার্লস হাইস্কুল, তীর্থপতি ইনস্টিটিউটশনেও বইমেলা আয়োজিত হতে চলেছে। পরবর্তী পর্যায়ে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলির বাছাই করা স্কুলে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সম্ভার নিয়ে হাজির হতে চলেছে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট।