অঙ্ক কী কঠিন! এ ভয় ছোট থেকেই থাকে অনেকের মধ্যে। কিন্তু কেউ কেউ আবার এমন ভাল অঙ্ক কষে— অবাক হয়ে যান শিক্ষকও। গণিত বিষয়ে উচ্চস্তরে পড়াশোনা করলে শিক্ষক, অধ্যাপক বা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াও আর কোন কোন দিকে পেশাগত দিশা মিলতে পারে—সেই সব খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।
স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত) বিষয় নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ। রাজ্যের প্রথম সারির প্রায় সব কলেজেই অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করা যায়। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ দ্বারা আয়োজিত প্রবেশিকার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। উত্তীর্ণ হতে পারলে মেধাতালিকার ভিত্তিতে অঙ্ক বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়।
স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের পর চাকরির সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনই থাকে গবেষণার সুযোগও।
আরও পড়ুন:
পেশাগত দিক কী কী:
স্নাতকের পরই পরিসংখ্যানবিদ হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় পরিসংখ্যানবিদ নিয়োগ করা হয়।
বিজ়নেস অ্যানালিস্ট হিসবে পেশা নির্বাচন করারও সুযোগ থাকে।
গণিতবিদ হিসাবে কাজের সুযোগ থাকে। বিভিন্ন তত্ত্ব, ফর্মুলা, মডেল নিয়ে কাজ করতে হয়।
কেউ রিস্ক অ্যানালিস্ট হিসাবেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সংস্থায় রিস্ক অ্যানালিস্ট হিসাবে কাজ করার সুযোগ থাকে গণিত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা থাকলে।
ডেটা অ্যানালিস্ট হিসাবেও বিভিন্ন সংস্থায় কাজের সুযোগ মিলতে পারে।
এ ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন জায়গায়, ব্যাঙ্ক-সহ আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি স্নাতকের পর আরও উচ্চস্তরের পড়তে চান, তা হলে গণিত এবং পরিসংখ্যান বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর, পিএইচডি করা যায়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএড পাশ করে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। একই ভাবে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট, স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হয়ে অধ্যাপনার কাজও করতে পারেন আগ্রহীরা।