Advertisement
২০ মার্চ ২০২৩

কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে পেশ করা ক্লোজার রিপোর্ট নিয়ে সিবিআই-কে একহাত নিল বিশেষ আদালত। মামলাটি কেন সিবিআই এত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। কয়লাবণ্টনে দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগে হিন্দালকো-কর্তা শিল্পপতি কুমারমঙ্গলম বিড়লা, কয়লা দফতরের সচিব পি সি পারেখ-সহ একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৯
Share: Save:

কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে পেশ করা ক্লোজার রিপোর্ট নিয়ে সিবিআই-কে একহাত নিল বিশেষ আদালত। মামলাটি কেন সিবিআই এত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক।

Advertisement

কয়লাবণ্টনে দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগে হিন্দালকো-কর্তা শিল্পপতি কুমারমঙ্গলম বিড়লা, কয়লা দফতরের সচিব পি সি পারেখ-সহ একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। শুক্রবার আদালতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান, হিন্দালকো-র সঙ্গে কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তিপত্রটি হারিয়ে গিয়েছে। আদালতে দায়ের করা নথিতে তার কোনও উল্লেখ না থাকায় তদন্তকারী অফিসারকে ভর্তসনাও করেন বিচারপতি ভরত পরাশর। আদালতে এ দিন পেশ করা নথির মধ্যে কেস ডায়েরিও ছিল না। বিরক্ত বিচারপতি তদন্তকারী অফিসারকে তাঁর উর্ধ্বতন অফিসারকে নিয়ে ফের আদালতে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটিকে তিনি প্রশ্ন করেন, “কোন দলিলের প্রেক্ষিতে আপনারা মামলাটি বন্ধ করতে চাইছেন? এখনও পর্যন্ত কী ধরনের তদন্ত হয়েছে? কুমারমঙ্গলম বিড়লার ক্ষেত্রে কি আইন ঠিক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে?” মামলার সঙ্গে সম্পর্কহীন দুর্বোধ্য নথি আদালতে পেশ করা নিয়েও সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

২০০৫ সালে তালাবিরা ২ এবং ৩ নম্বর কয়লা খনি বণ্টনে দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগে গত বছর অক্টোবর মাসে কুমারমঙ্গলম বিড়লা, কয়লা দফতরের সচিব পি সি পারেখ-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। গত ২৮ অগস্ট তদন্ত শেষ বলে আদালতে জানায় সিবিআই। এফআইআরে সিবিআই অভিযোগ করে, কয়েক মাসের ব্যবধানে কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই হিন্দালকোকে ব্লক দু’টি ‘পাইয়ে’ দেওয়া হয়। যদিও এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তদন্ত শেষ করা নিয়ে সিবিআইয়ের মধ্যেও মতপার্থক্য ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন কুমারমঙ্গলম বিড়লা এবং পি সি পারেখ। কোনও রকম দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.