Advertisement
E-Paper

গিরিশ পার্কে মহিলার দেহ উদ্ধার

সকালে পাড়ার একটি বাড়ি থেকে কটূ গন্ধটা ছড়াচ্ছিল। দুপুর হতেই তা কার্যত সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক দল বাসিন্দা ওই বাড়ির এক তলার একটি ঘরের জানলা খুলে উঁকি দিতেই আঁতকে ওঠেন। খাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছেন ওই ঘরের আবাসিক মহিলা। হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা! জামাকাপড় অবিন্যস্ত। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওই মহিলার ধড়ে প্রাণ নেই। ওই দলে ছিলেন মহিলার এক দেওরও। দাদার কাছ থেকে ফোন পেয়েই বৌদির খোঁজ নিতে এসেছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল গিরিশ পার্ক থানার সিংহিবাগান এলাকার বেনারসী ঘোষ স্ট্রিট। যে রাস্তার মোড়েই কলকাতা পুরভোটের বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সাব-ইনস্পেক্টর জগন্নাথ মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ১৯:৪২

সকালে পাড়ার একটি বাড়ি থেকে কটূ গন্ধটা ছড়াচ্ছিল। দুপুর হতেই তা কার্যত সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক দল বাসিন্দা ওই বাড়ির এক তলার একটি ঘরের জানলা খুলে উঁকি দিতেই আঁতকে ওঠেন। খাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছেন ওই ঘরের আবাসিক মহিলা। হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা! জামাকাপড় অবিন্যস্ত। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওই মহিলার ধড়ে প্রাণ নেই।

ওই দলে ছিলেন মহিলার এক দেওরও। দাদার কাছ থেকে ফোন পেয়েই বৌদির খোঁজ নিতে এসেছিলেন তিনি।

ঘটনাস্থল গিরিশ পার্ক থানার সিংহিবাগান এলাকার বেনারসী ঘোষ স্ট্রিট। যে রাস্তার মোড়েই কলকাতা পুরভোটের বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সাব-ইনস্পেক্টর জগন্নাথ মণ্ডল।

সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে দরজা ভেঙে ওই ঘরে ঢোকে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর লালবাজার জানিয়েছে, প্রতিমা মাইতি (৪৫) নামে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুন করার আগে তাঁর উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, তা অবশ্য পুলিশ নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি। শনিবার ওই মহিলাকে শেষ বার দেখেছিলেন পাড়ার লোকেরা।

পুলিশের সন্দেহ, শনিবার রাতেই সম্ভবত তাঁকে খুন করা হয়েছে। প্রতিমার দেহে পচন ধরে গিয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তা-ও পুরোপুরি স্পষ্ট নয় গোয়েন্দাদের কাছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ এবং খুনের সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতিমা বিবাহিত। তাঁর দুই ছেলেও রয়েছে। তাঁর স্বামী দিলীপ অন্ধ্রপ্রদেশে থাকেন। তিনি সোনার কারিগর। প্রতিমার বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী দিলীপের সঙ্গে থাকেন। ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ভিন রাজ্যে চাকরি করেন। তাই প্রতিমা বছর দুয়েক ধরে একাই থাকতেন।

প্রতিমার দেওর পুলিশকে জানান, এ দিন সকাল থেকেই তাঁর দাদা প্রতিমাকে ফোন করছিলেন। কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় ভাইকে প্রতিমার খোঁজ নিতে পাঠান। প্রতিমার দেওর এসে দেখেন, ঘর থেকে কটূ গন্ধ বেরোচ্ছে। এর পরে প্রতিমার দেওর কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে একটি জানলায় ধাক্কা দেন। সেটি খুলে যায়। জানলা খুলতেই ভিতরে প্রতিমার দেহ দেখতে পাওয়া যায়।

এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতিমার আদি বাড়ি ঘাটালে। তবে বহু দিন ধরেই প্রতিমা ও তাঁর স্বামী দিলীপ পরিবার নিয়ে গিরিশ পার্কের এই বাড়িতে থাকতেন।

Girish park dead body police KMC poll
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy