সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সেই ধস। ছবি: রণজিত্ নন্দী।
ঢাকুরিয়া, শ্যামবাজারের পর ফের ধস নামল শহরের রাস্তায়। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর ফুট দেড়েক চওড়া এবং এক ফুট মতো লম্বা ওই ধস দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার কর্মীরা।
এ দিন সকাল ছ’টা নাগাদ ইসলামিয়া হাসপাতালের কিছুটা আগে ৬১ নম্বর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সামনে বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে একটা গর্ত নজরে পড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধস নেমেই রাস্তার ওই অংশে গর্ত হয়। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর রেহানা খাতুন। তিনি বলেন, “ইঁদুরের উত্পাতেই এই গর্ত তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পুরসভা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দুর্ঘটনা এড়াতে ধসের অংশে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়। পরে পুরসভার কর্মীরা এসে মেরামতির কাজ শুরু করেন।
ধসের প্রকৃত কারণ না জানা গেলেও কাউন্সিলরের ইঁদুর তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দাদের একাংশ। একাধিক সমীক্ষায় শহরের মাটির নীচে তাদের বংশবিস্তারের তথ্য উঠে এসেছে। কার্জন পার্ক থেকে মহাকরণ, ভিক্টোরিয়া থেকে এসএসকেএম হাসপাতাল, বাস স্ট্যান্ড হোক বা রেল স্টেশন— শহরের মাটির নীচে প্রায় সর্বত্রই দাপটে বসবাস করছে এই মূষিক বাহিনী। এর ফলে কখনও রাস্তায় ধস নামছে, তো কখনও ফাটল দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। পুরকর্তারা এ নিয়ে আগে থেকেই উদ্বিগ্ন। এ দিন কাউন্সিলরের কথাতেও সেই উদ্বিগ্নতা ধরা পড়েছে।
এর আগে গত মাসের প্রথম দিকে ঢাকুরিয়া এবং তার কয়েক দিন পরেই শ্যামবাজারে রাস্তায় ধস নামে। শ্যামবাজারের ধসটি চওড়ায় খুব একটা বেশি না হলেও তার গভীরতা ছিল প্রায় ১৫ ফুট। অন্য দিকে, তিন ফুট গভীর হয়ে ধস নামায় ঢাকুরিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তা বসে গিয়েছিল। পরে দেখা যায় যে সেখানে পাঁচ ফুট লম্বা এবং চার ফুট চওড়া অংশ জুড়ে রাস্তার নীচে কোনও মাটি নেই। তার আগের মাসে ইএম বাইপাসে রুবি মোড়ের কাছেও রাস্তায় ধস নামে। যদিও এই তিনটি ঘটনায় পুরসভার তরফে ইঁদুর তত্ব খাড়া করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy