Advertisement
E-Paper

তিলকে তাল, রাহুল-প্রশ্নে রাজ্যসভায় সরব জেটলি

দিল্লি পুলিশের নজরে শুধু রাহুল নন, আছেন সনিয়া গাঁধীও। দলের সহ-সভাপতি সম্পর্কে জানতে যে প্রশ্নমালা নিয়ে আপাতত সরগরম রাজধানী, সেই একই প্রশ্নপত্র এর আগে পাঁচ বার পূরণ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া নিজে। এবং তার সঙ্গে গোয়েন্দাগিরি বা রাজনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই নিরাপত্তাজনিত বিষয়। রাজ্যসভায় সোমবার এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৫ ১৬:২৭

দিল্লি পুলিশের নজরে শুধু রাহুল নন, আছেন সনিয়া গাঁধীও। দলের সহ-সভাপতি সম্পর্কে জানতে যে প্রশ্নমালা নিয়ে আপাতত সরগরম রাজধানী, সেই একই প্রশ্নপত্র এর আগে পাঁচ বার পূরণ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া নিজে। এবং তার সঙ্গে গোয়েন্দাগিরি বা রাজনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই নিরাপত্তাজনিত বিষয়। রাজ্যসভায় সোমবার এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি। এমনকী, ওই তালিকায় রাজধানীর ৫২৬ জন ভিভিআইপি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা অযথা বিষয়টি নিয়ে সরব হচ্ছেন বলে জেটলির মন্তব্য, তিলকে তাল বানানো হচ্ছে।

গত ১২ মার্চ দিল্লি পুলিশের দুই কর্মী রাহুলের বাসভবনে গিয়ে নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। পরে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি জওয়ানেরা ওই দুই পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা একটি প্রশ্নপত্র এগিয়ে দেন। সেখানে বাবার নাম থেকে জুতোর মাপ কী, সবই প্রশ্ন আকারে ছিল। এই ঘটনায় সরব হয় কংগ্রেস। বিজেপি গোয়েন্দাগিরি এবং রাজনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার বিএস বাস্সি। বিষয়টি ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার কারণে এই সব তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, ১৯৯৯ থেকেই রাজধানীতে এই নিয়ম চলে আসছে। শুধু রাহুল নন, বাস্সির দাবি অনুযায়ী ওই তালিকায় অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু, তাতেও বিতর্কের আগুন নেভেনি।

কংগ্রেসের পাশাপাশি এই ঘটনায় সরব হয় অন্য বিরোধী দলগুলিও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু-সহ মন্ত্রকের একাধিক পদস্থ কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন বাস্সি। বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সরকারি সফরে এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন। এ দিন লোকসভায় রিজিজু বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর।

অন্য দিকে, রাজ্যসভায় এ দিন এ বিষয়ে মুখ খোলেন জেটলি। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়, বরং দিল্লি পুলিশ রুটিনমাফিকই কাজ করেছে বলে দাবি করেন তিনি। বিরোধীরা যদিও বিজেপি-র বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ তোলে। জবাব দিতে গিয়ে জেটলি বলেন, “গত আট মাসে এটা শুরু হয়েছে, এমন নয়। ১৯৮৭ সাল থেকেই দিল্লি পুলিশ এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। তখন কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতায় রাজীব গাঁধীর সরকার।” যদিও সেই প্রশ্নের ধাঁচে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে ৯৯তে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, আই কে গুজরাল, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও সেই প্রশ্নপত্র পূরণ করতে হয়েছে বলে দাবি জেটলির। এমনকী, সনিয়া গাঁধীও মোট পাঁচ বার এই প্রশ্নমালা পূরণ করেছেন। জেটলির দাবি, ২০০৪, ’০৯, ’১০ ’১১ এবং ২০১২তে কংগ্রেস সভানেত্রী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিল্লি পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও ওই সমস্ত তথ্য দিল্লি পুলিশকে জানাতে হয়েছে বলে দাবি করেন জেটলি। ২০০১, ’০৭, ’০৮, ’০৯ এবং ২০১২ তে প্রণববাবু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে দিল্লি পুলিশ। লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, আহমেদ পটেল, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদব— তালিকা বেশ দীর্ঘ। দলমত নির্বিশেষে শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণেই এই কাজ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেটলি।

জেটলির দাবি, যে প্রশ্নপত্র রাহুলের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই প্রশ্নমালা ৫২৬ জন ভিভিআইপির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদকে উদ্দেশ্য করে জেটলি জানান, ইউপিএ সরকারের সময়ে পূরণ করা ৫২৬টি ফর্ম দেখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে।

arun jetly bjp rahul gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy