কুণালের পথেই হাঁটলেন আসিফ।
এ বছরের দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন কুণাল আদালতের ভেতর দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “ওঁরা পুজো উদ্বোধন করবেন। আর আমি জেলে বসে ঢাকের আওয়াজ শুনব!” নিশানায় ছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। একই ভাবে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে ঢোকার সময় আসিফের তীর্যক মন্তব্য, “রাম-সীতা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর হনুমান হাজতে!”
তবে এই রাম-সীতা বলতে তিনি কাদের বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে বলেননি আসিফ। কিন্তু ‘হনুমান’ বলতে তিনি যে নিজেকে বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য আসিফের কথাতেই স্পষ্ট। এ দিন আসিফ দাবি করেন, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। অনেক রাঘব বোয়াল সম্পর্কে সিবিআইকে তথ্য দিয়েছি। সে জন্য আমার উপর এত রাগ।” তিনি আরও বলেন, “আরও অনেক তথ্য আছে। সময়ে সব দেব। রাজ্য সরকার চক্রান্ত করছে।” উল্লেখ্য, এর আগে আদালতে কুণাল বলেছিলেন, “সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা যদি সব থেকে বেশি কেউ পেয়ে থাকেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এ দিন বারাসতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মধুমিতা রায়ের এজলাসে তোলা হয় আসিফ খানকে। তাঁর আইনজীবী লোকেশ শর্মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সওয়াল করেন। তিনি আদালতে জানান, সারদা-কাণ্ড নিয়ে সিবিআইকে তথ্য দেওয়ার জন্যই তাঁর মক্কেলকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, “অভিযোগকারী রাজারাম শরাফের আয়কর সংক্রান্ত ফাইল দেখা হোক। তা হলেই ৮ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” পাশাপাশি যাঁরা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে দাবি, তাঁদের দিয়েও মিথ্যে কথা বলানো হচ্ছে বলে এ দিন আদালতে জানান লোকেশবাবু।
সরকারি কৌঁসুলি শান্তময় বসু আদালতে বলেন, আসিফ খান উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশার বাসিন্দা দুই ব্যক্তির কাছে ৮ কোটি টাকা রেখে এসেছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযুক্তকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়া দরকার বলে তিনি আদালতে জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy