হাসপাতালের বিছানায় সুজিত রাম। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক হানাহানি। হুগলির ভদ্রেশ্বরে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে এক দল বিজেপি সমর্থকের উপরে সশস্ত্র কিছু লোক হামলা চালায়। ঘটনায় কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রভু চৌধুরী এবং সুজিত রাম নামে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রভুর ডান কাধ থেকে হাতের কনুই পর্যন্ত অংশ কেটে ঝুলছে এবং সুজিতের মুখে ৩৭টি সেলাই দিতে হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ ভদ্রেশ্বর গেটবাজার এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর যাদবের সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ চলছিল। অভিযোগ, সে সময়ই কয়েক জন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র সমেত ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দেওয়াল লেখা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তারপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয়। সাত জন বিজেপি সমর্থকের মধ্যে অন্যেরা অল্পবিস্তর জখম হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু প্রভু এবং সুজিতের উপরে পর পর কোপ মারতে থাকে দুষ্কৃতীরা।
পরে চিত্কার শুনে স্থানীয়েরা ছুটে এলে তাঁদেরকে ফেলে রেখেই পালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরে স্থানীয়রাই তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শুক্রবার সকালে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি স্বপন পাল আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যান। পরে তাঁর নেতৃত্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কয়েকশো বিজেপি সমর্থক মিছিল করে গিয়ে ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাও করেন। অবরোধ করা হয় জি টি রোড।
কারা এই হামলা করল?
স্বপনবাবুর বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে ভদ্রেশ্বর এলাকায় বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছ। সে কারণেই তৃণমূল এই হামলা করেছে।” যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের উপ-পুরপ্রধান মনোজ উপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা অভইযোগ, “আমাদের দেওয়াল দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। তবে আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নয়। কেউ হয়তো প্রতিবাদ করেছিল। তাতেই এই ঘটনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy