ধংসস্তূপ থেকে বের করে আনা হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই
বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার সকালে নতুন করে আরও দশটি দেহ উদ্ধার হওয়ায় পুণের মলিন গ্রামে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১। এদের মধ্যে ২২ জন মহিলা, ২৩ জন পুরুষ এবং ছ’টি শিশু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাটি-কাদার নিচে আটকে থাকা শ’দেড়েক মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আট জন আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দূর্ঘটনার পর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৩০০ কর্মী ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে জীবিতদের বার করে আনার অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ এবং বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর জীবিত অবস্থায় আর কাউকে বের করে আনা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দিহান উদ্ধারকারী দলের অনেকেই। এরই মধ্যে চলেছে লাগাতার বৃষ্টি। ফলে বারবারই থমকে যাচ্ছে উদ্ধারকাজ। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর আঞ্চলিক কম্যান্ড্যান্ট অলোক অবস্তি বললেন, “যত সময় পেরোচ্ছে, আটকে পড়া মানুষগুলিকে জীবিত উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে। তবে অলৌকিক কিছু এখনও ঘটে।” সেই ‘অলৌকিক’-এর আশায় এখনও খুব ধীরে চলছে স্তূপের মাটি ও পাথর সরানোর কাজ। মৃতদেহ সত্কারের জন্য বৃহস্পতিবার জ্বালানো হয়েছিল গণচিতা।
বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থলে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শুক্রবার জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী পতঙ্গরাও কদম। মলিনের ঘরছাড়া ও আহত মানুষদের দ্রুত পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy