কুকুর নিয়ে চলছে তল্লাশি। ছবি: নারায়ণ দে।
ফের হাতির মৃত্যু ডুয়ার্সে। সোমবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর পূর্ব রেঞ্জের চেকো বিটের চার নম্বর কম্পার্টমেন্টের কাছে একটি হাতির দেহ মেলে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে এই জঙ্গলে দু’টি হাতির দেহ মিলল। দু’টি হাতিরই দাঁত কেটে নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার একই প্রকল্পের নিমাটি রেঞ্জের ছয় নম্বর কম্পার্টমেন্টে একটি হাতির দেহ মেলে। পর দিন সকালে ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অবিযোগে জঙ্গল লাগোয়া উত্তর পোড়ো বস্তি থেকে তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করে সোমবার আরও দুই ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়।
এরই মধ্যে সোমবার রাতে আর একটি হাতির দেহ মেলায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় বন দফতরের কর্মীদের ভেতর। ফের ডাকা হয় এসএসবি-র কুকুরকে। মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এর পর প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে জঙ্গল লাগোয়া রাজাভাতখাওয়া, গাড়ো এবং গদাধর বনবস্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। গদাধর বনবস্তিতে তিন ব্যক্তির বাড়িতে গন্ধ শুঁকে কুকুর ইঙ্গিত দেওয়া শুরু করে। ওই বাড়িগুলি থেকে তিন সন্দেহভাজন পালিয়ে যায় বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ঘটনার তদন্তে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) আজম জাইদি বক্সায় পৌঁছন।
বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানিয়েছেন, চোরাশিকার ও বন্যপ্রাণী হত্যা রুখতে বিএসএপ, এসএসবি, পুলিশ, সিআইডি এবং বন দফতরকে নিয়ে ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বক্সায় হাতি মৃত্যুর ঘটনার জন্য প্রধান মুখ্য বনপালকে (বন্যপ্রাণ) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।” পাশাপাশি, শূন্যপদে ২০৮ জন বনকর্মীর নিয়োগে অর্থ দফতরের সম্মতি মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে জঙ্গলে টহলদারী বাড়ানো যাবে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy