অভিযোগপত্র, নথি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ যদি তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের উস্কানিমূলক বক্তব্যে আদালতগ্রাহ্য অপরাধ খুঁজে না পায়, তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক বলে শুক্রবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলার নিষ্পত্তি ডিভিশন বেঞ্চে না হওয়ায় হাইকোর্টের বিচারপতি নিশীথা মাত্রের আদালতে পুনরায় গোড়া থেকে শুনানি হয়েছে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। এই মামলায় রাজ্য সরকার তাপস পালকে আড়াল করতে চাইছে কি না, শুনানির প্রথম দিনই সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি মাত্রে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার সরকার পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানিয়ে দেন, তাপস পালের ওই মন্তব্য নিয়ে সিআইডি অনুসন্ধানে রাজি রাজ্য সরকার। নদিয়া জেলায় কর্মরত সিআইডি-র কোনও অফিসার সেই অনুসন্ধান করবে বলেও আদালতে জানায় রাজ্য। কিন্তু মামলাকারীর আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় নিচুতলার কোনও অফিসারকে দিয়ে ঘটনার তদন্তে রাজি হননি। সেই কারণে শুক্রবারও এই মামলার শুনানি ছিল।
এ দিন তাপস পালের আইনজীবী কিশোর দত্ত আদালতে জানান, ওই উস্কানিমূলক বক্তব্য নির্বাচনের সময় করা হয়। তা শুনে বিচারপতি মাত্রে বলেন, “নির্বাচনের সময় তাপউত্তাপ থাকতেই পারে, কিন্তু প্রার্থীকে সংযত থাকতে হবে।” বিচারপতি আরও বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ দু’টি বিষয়ে। প্রথম বক্তব্য উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষমূলক। দ্বিতীয়ত, আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিয়ে। কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি (লাইসেন্স) না থাকে, তা হলে তা অস্ত্র আইনে আদালতগ্রাহ্য অপরাধ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি মাত্রে। এর পরেই বিচারপতি মাত্রে বলেন, পুলিশের হাতে অভিযোগপত্র রয়েছে, অভিযোগের সপক্ষে নথি রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ যদি আদালতগ্রাহ্য অপরাধ খুঁজে না পায় তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক।
দু’পক্ষের সওয়াল শেষে এ দিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, মামলার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy