Advertisement
১৩ জানুয়ারি ২০২৫

রায়না-ধোনির চওড়া ব্যাটে ছয়ে ছয় করল ভারত

সুরেশ রায়নার সেঞ্চুরি আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ‘কুল’ মানসিকতায় ভর করে জিম্বাবোয়েকে ছ’উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ লিগে ছয়ে ছয় করেই অস্ট্রেলিয়া রওনা হচ্ছে ভারত। অকল্যান্ডে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে যে চাপ কাটিয়ে জিতল ধোনি বাহিনী, তাতে বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে রেখে দেওয়া নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়ল বই কমল না। শনিবার অকল্যান্ডে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর।

অকল্যান্ডে বিধ্বংসী রায়না। ছবি: রয়টার্স।

অকল্যান্ডে বিধ্বংসী রায়না। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ১৬:৫০
Share: Save:

সুরেশ রায়নার সেঞ্চুরি আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ‘কুল’ মানসিকতায় ভর করে জিম্বাবোয়েকে ছ’উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ লিগে ছয়ে ছয় করেই অস্ট্রেলিয়া রওনা হচ্ছে ভারত। অকল্যান্ডে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে যে চাপ কাটিয়ে জিতল ধোনি বাহিনী, তাতে বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে রেখে দেওয়া নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়ল বই কমল না।

শনিবার অকল্যান্ডে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েই যেন নেমেছিলেন টেলর। ১৩ রানের মধ্যে প্রথম দু’জনকে হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, তখনই ক্রিজে প্রবেশ জিম্বাবোয়ের এই সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। কিছু ক্ষণ পরেই দল ৩৩/৩। তখনই দলের হাল ধরেন ব্রেন্ডন। চতুর্থ উইকেটে শিন উইলিয়ামসের সঙ্গে যোগ করেন ৯৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি করে উইলিয়ামস আউট হওয়ার পরই স্বমূর্তি ধরেন ব্রেন্ডন। শুরু করেন পাল্টা মার। হঠাত্ করেই যেন সাধারণ মানের বোলার মনে হতে থাকে শেষ পাঁচ ম্যাচে ৫০ উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলারদের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল অশ্বিন এবং জাডেজার। ১০ ওভারে ৭১ রান দেন বরোদার বাঁহাতি। এবং ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে কেরিয়ারের নিকৃষ্টতম বোলিং করলেন অশ্বিন। আরভিনের সঙ্গে জুটিতে ১৩ ওভারে ১০৯ রান যোগ করেন ব্রেন্ডন। এর মধ্যে অধিনায়ক একাই করেন ৮৪। পাঁচটি ছয় এবং ১৫টি চার মেরে ১১০ বলে ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মোহিতের বলে আউট হন তিনি। জিম্বাবোয়ের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে বিশ্বকাপে চারশোর গণ্ডি পেরলেন ব্রেন্ডন। তিনি আউট হতেই অব্শ্য বেড়িয়ে পরে জিম্বাবোয়ে ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল। ইনিংসের সাত বল বাকি থাকতেই ২৮৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। স্পিনারদের খারাপ দিনে অবশ্য যথেষ্ট ভাল বল করলেন শামিদের পেস ব্যাটারি। তিন পেসারই নেন তিনটি করে উইকেট।

অকল্যান্ডের ছোট মাঠে ২৮৮ তাড়া করে অনায়াসে জিতবে শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং— সমর্খকদের এই আশা অবশ্য বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। স্কোরবোর্ডে ২১ রান উঠতেই চার বলের ব্যবধানে আউট হন রোহিত-ধবন। ভালই খেলছিলেন কোহলি এবং আজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু এই দু’জন আউট হতে ফের চাপে পরে ভারত। ৯২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচে তখন অ্যাডভান্টেজ জিম্বাবোয়ে। এর পরেই শুরু হল রায়না ম্যাজিক। ইনিংসের প্রথম দিকে একটু নড়বড়ে থাকলেও শীঘ্রই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেন এই বাঁহাতি। চারটি ছয় এবং ন’টি চার মেরে ১১০ রানে অপরাজিত থেকে যান ম্যান অব দ্য ম্যাচ রায়না। এবং অবশ্যই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২৬ ওভারে ১৯৬ রানের পার্টনারশিপ করেন ধোনি-রায়না জুটি। ৮৫ রানে অপরাজিত থেকে যান ধোনি।

জিম্বাবোয়ের সমর্থকরা কিন্তু রায়না নন, ম্যাচের সেরা বাছতে পারেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। ৫০ রানের মাথায় রায়নার যে ক্যাচ তিনি ফেলেন, তা ক্ষমারও অযোগ্য। ওই ক্যাচ ধরতে পারলে কিন্তু ম্যাচ জিততে বেশ বেগ পেতে হত ধোনি ব্রিগেডকে।

ভারতের পরবর্তী খেলা বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ আটে মেলবোর্নে ধোনিরা এই আগুনে ধর্ম ধরে রাখতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।

অন্য বিষয়গুলি:

world cup 2015 india zimbabwe suresh raina brendon taylor dhoni
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy