বর্ধমান শহর থেকে এ বার মঙ্গলকোটে খাগড়াগড়-বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন ইউসুফের শ্বশুড়বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু হল। শনিবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ মঙ্গলকোটের ন’পাড়ায় ইউসুফের শ্বশুডরবাড়িতে পৌঁছন এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা) এবং এনএসজি-র (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড) কম্যান্ডোরা। সঙ্গে ছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশও। তন্নতন্ন করে গোটা বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। বাদ যায়নি বাড়ির ছাদ ও জলের ট্যাঙ্কও। কিন্তু তল্লাশিতে সন্দেহভাজন তেমন কোনও কিছুরই হদিশ মেলেনি বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবার সকালে বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের চরে বিস্ফোরকগুলি ফাটানোর পরেও ফের বাদশাহি রোডের ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ এবং এনএসজি। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ৩৫টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস)। এর পরেও স্বস্তি আসেনি বাদশাহি রোডে। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকাল থেকে ফের একবার তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বর্ধমান শহরে। সেই মোতাবেক এ দিন সকালেই বর্ধমান শহর থেকে মঙ্গলকোটে যাওয়ার কথা ছিল এনআইএ এবং এনএসজি-র।
এর আগে ইউসুফের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ এবং এনএসজি। কিন্তু ইউসুফের খোঁজ না মেলায় তার দুই ভাই নজরুল শেখ ও বানি ইসরাইলকে আটক করে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলকোটের নিগনে ইউসুফ যে নতুন মাদ্রাসা তৈরি করছিল নির্মীয়মান সেই বাড়িটিতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ ও এনএসজি-র কম্যান্ডোরা।
খাগড়াগড়-বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে শিমুলিয়ার মাদ্রাসা-পরিচালক ইউসুফ শেখের নাম। মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলার মকিমনগরের মাদ্রাসার পাশাপাশি ঘোড়ামারা মাদ্রাসা নিয়েও ঘনিয়েছে সন্দেহের মেঘ। এই মাদ্রাসাগুলিই ‘জিহাদ’ তৈরির আখড়া বলেই দাবি এনআইএ-র। তাদের মতে খাগড়াগড় কাণ্ড যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি-জালকে প্রকাশ্যে এনেছে পশ্চিমবঙ্গে, তার মূল চক্রী হল ইউসুফ। বাহিনী তৈরি ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্বে ছিল মঙ্গলকোটে কৃষ্ণবাটী গ্রামের বাসিন্দা মৌলানা ইউসুফ শেখের স্ত্রী আয়েষা। ইউসুফ ও আয়েষা, দু’জনেই জমিয়ত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। তবে বর্তমানে ইউসুফ ও আয়েষা দু’জনেই ফেরার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy