—ফাইল চিত্র।
গিরিশ পার্কে মহিলা খুনের ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে এক জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার অফিসারেরা। ধৃতের নাম আলম আলি। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত আলম তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোর তিনটে নাগাদ দাসপুর থেকে বছর আটচল্লিশের আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পেশায় সে কাঠমিস্ত্রি। খুন হওয়া ওই গৃহবধূ প্রতিমা মাইতির মোবাইলের কল লিস্ট এবং তাঁর আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে আলমের খোঁজ পাওয়া যায়। ঘটনাচক্রে প্রতিমাদেবীর বাপেরবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুটোই ওই দাসপুরে। তবে, বহু দিন ধরেই প্রতিমা ও তাঁর স্বামী দিলীপ পরিবার নিয়ে গিরিশ পার্কের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বছর কয়েক আগে দিলীপ এবং তাঁদের বড় ছেলে সন্দীপ অন্ধ্রপ্রদেশে চলে যান। দাসপুরে প্রতিমা দেবীদের পাশের গ্রামেই বাড়ি আলমের। সেই সূত্রে আগে থেকেই আলমকে চিনতেন তিনি বলে পুলিশের দাবি। তবে, খুন করার কথা স্বীকার করলেও তার কারণ নিয়ে এ দিন সকাল পর্যন্ত মুখ খোলেনি আলম। এ দিন তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হবে।
গত সোমবার দুপুরে গিরিশ পার্ক থানার সিংহিবাগানের বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটে একটি বাড়ির দরজা ভেঙে প্রতিমা মাইতির হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, তাঁর সারা মুখে রক্ত জমাট বাধা ছিল। ঠোঁটের কোণায় রক্তের দাগ ছিল। সারা গায়ে পচন ধরে গিয়েছে। চার হাত-পা টানটান করে বাঁধা ছিল। মহিলার শরীরের ঊর্ধ্বাংশে একটি চাদর চাপা দেওয়া ছিল। কিন্ত, নিম্নাংশে কোনও পোশাক বা আবরণ ছিল না। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, প্রতিমার মাথার পিছনে প্রথমে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy