Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আটলেটিকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে রিয়াল

পর পর সাত বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে সাফল্যের স্বাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ডার্বির ফিরতি ম্যাচে জাভিয়ের হার্নান্ডেজের শেষ মুহূর্তের গোলে আটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছল কার্লো আন্সেলোত্তির দল। ​কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গোল শূন্য ড্র হওয়ায় স্বভাবতই বেশ চাপে ছিলেন আন্সেলোত্তি।

হার্নান্ডেজের হুঙ্কার। ছবি: এএফপি।

হার্নান্ডেজের হুঙ্কার। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১১:৩৪
Share: Save:

পর পর সাত বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে সাফল্যের স্বাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ডার্বির ফিরতি ম্যাচে জাভিয়ের হার্নান্ডেজের শেষ মুহূর্তের গোলে আটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছল কার্লো আন্সেলোত্তির দল।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গোল শূন্য ড্র হওয়ায় স্বভাবতই বেশ চাপে ছিলেন আন্সেলোত্তি। কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আবার প্রথম একাদশের বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে ছাড়াই নামতে হয়েছিল রিয়ালকে। চোটের জন্য রিয়ালের বিখ্যাত ‘বিবিসি’র বেঞ্জেমা এবং বেলকে পায়নি রিয়াল। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো মাঝমাঠের অন্যতম প্লেমেকার লুকা মদ্রিচকেও পাননি আন্সেলোত্তি। এ ছাড়া সাসপেন্ড হওয়ায় ছিলেন না মার্সেলোও। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই কার্ভাজল, কোয়েন্ত্রাও এবং ভারানেকে দিয়ে শুরু করতে হয় রিয়াল। সের্জিও র্‌যামসকেও তাঁর পরিচিত জায়গা ছেড়ে টনি ক্রুজের সঙ্গে মাঝমাঠের দায়িত্ব সামলাতে হয়। রোনাল্ডোর পাশে প্রথম থেকেই শুরু করেছিলেন মেক্সিকান হার্নান্ডেজ। বছর খানেক আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে লোনে রিয়ালে এসেছেন হার্নান্ডেজ। এখনও পর্যন্ত যে গোটা সতেরো ম্যাচ খেলেছেন, তাঁর বেশির ভাগই এসেছেন পরিবর্ত হিসাবে। রোনাল্ডো-বেঞ্জেমা-বেলদের ছায়াতে প্রায় হারাতেই বসেছিলেন তিনি। সেই হার্নান্ডেজই বুধবার রাতে হয়ে দাঁড়াল রিয়ালের রক্ষাকর্তা। তবে ম্যাচ জিততে মেক্সিকোর এই ফুটবলারটির চেয়েও বোধহয় বিপক্ষের ডিফেন্ডার আর্দা তুরানকে বেশি ধন্যবাদ দেওয়া উচিত আন্সেলোত্তির। কোয়ার্টারের প্রথম পর্বে মূলত তাঁর এবং মাতার শক্তিশালী ডিফেন্সের সামনে হারিয়ে গিয়েছিল রোনাল্ডোদের যাবতীয় কারিকুরি। এ দিন মাতাকে না পেলেও আটলেটিকোর ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তুরস্কের এই ডিফেন্ডারই। কিন্তু ৭৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে তুরান মাঠ ছাড়তেই ডানা মেলতে থাকে রিয়ালের ফরোয়ার্ড লাইন। দশ জনের বিপক্ষকে তখন থেকেই নাস্তানাবুদ করা শুরু রিয়ালের। মিনিট তিনেকের মধ্যে হার্নান্ডেজের শট অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। নির্ধারিত সময়ের যখন আর মিনিট দু’য়েক বাকি, তখনই রোনাল্ডোর একটি ডিফেন্স চেরা পাস থেকে গোল করেন হার্নান্ডেজ। নেটে বল জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই গর্জে উঠল সান্তয়াগো বের্নাবৌ।

ম্যাচে গোলের বল বাড়ানো ছাড়া তেমন ভাবে চোখে পড়ল না পর্তুগিজ মহাতারকাকে। তবে বল পজিশন থেকে আক্রমণ, সব দিক থেকেই এ দিন সিমিওনেদের থেকে এগিয়ে ছিল রিয়াল।

ম্যাচ জিতে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং জুভেন্তাসের সঙ্গে শেষ চারে পৌঁছল রিয়াল। জুভান্তাস এ দিন মোনাকোর সঙ্গে গাল শূন্য ড্র করে প্রথম লেগে ১-০ জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল। শুক্রবার লটারির মাধ্যমে সেমিফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নাম ঘোষণা হবে। জুভেন্তাসের এ দিনের খেলা দেখে রিয়াল, বার্সা বা মিউনিখের প্রত্যেকেই চাইবে শেষ চারে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE