Advertisement
E-Paper

শ্যামল সেন কমিশন ঘিরে অনিশ্চয়তা, অবস্থান-বিক্ষোভ

শ্যামল সেন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার। ওই মেয়াদ আর বাড়বে কি না এক দিন আগেও তা জানাতে পারেনি কমিশন। আর সেই অনিশ্চয়তা ঘিরে মঙ্গলবার ফের অবস্থান-বিক্ষোভ হল ধর্মতলা চত্বরে এবং সারদা কমিশনের সামনে। বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো এজেন্ট। যা রুখতে কমিশনের অফিসের সামনের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয় প্রশাসনকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সকলের টাকা ফেরতের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ২১:২৪

শ্যামল সেন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার। ওই মেয়াদ আর বাড়বে কি না এক দিন আগেও তা জানাতে পারেনি কমিশন। আর সেই অনিশ্চয়তা ঘিরে মঙ্গলবার ফের অবস্থান-বিক্ষোভ হল ধর্মতলা চত্বরে এবং সারদা কমিশনের সামনে। বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো এজেন্ট। যা রুখতে কমিশনের অফিসের সামনের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয় প্রশাসনকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সকলের টাকা ফেরতের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।

তবে বুধবার কমিশনের মেয়াদের শেষ দিন হলেও শুনানির জন্য এ দিনই সিবিআই, ইডি এবং সিটের প্রতিনিধিদের কমিশনে হাজির থাকার কথা। কমিশন সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে সিটের সমস্ত নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে চলে যাওয়ায় কমিশনের কিছু কাজকর্ম আটকে গিয়েছে। সে ব্যাপারেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সহ সিটের অন্যতম কর্তা তথা বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

কমিশন সূত্রের খবর, তাদের আশা ছিল কমিশনের মেয়াদ আরও বাড়াবে সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার, ২৪ ঘণ্টা আগেও কোনও নির্দেশ না আসায় শেষ পর্যন্ত কী হবে কমিশনের তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার এজেন্টরা এ দিন রানি রাসমণি রোডে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। কমিশনের কাছে ডেপুটেশনও দেন। সেখানে অবস্থান-বিক্ষোভ হওয়ার পরে দুপুরে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী, ক্ষুদ্র আমানতকারী ও এজেন্ট সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সুবীর দে-র নেতৃত্বে আট জন শ্যামল সেনের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন দিয়ে আসেন। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেন, “শ্যামল সেন কমিশনের স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে! অনেক আগেই বন্ধ হতে পারত। আমরা আগেই বলেছিলাম, আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য রাজ্য সরকার এটা করেছে। আমরা তখনই বলেছিলাম, এ ভাবে অপরাধীদের বেআইনি হস্তান্তরের (সম্পত্তি) সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।” সূর্যবাবুর আরও মন্তব্য, “কমিশন যেটা করছিল, তাকে বলে পরের ধনে পোদ্দারি! একটাও চিট ফান্ডের টাকা উদ্ধার করে তারা ফেরত দেয়নি। জনগণের করের টাকা থেকে আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছিল।”

sarada shyamal sen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy