Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন স্কুলে গুলিচালনার ঘটনায় মৃত আরও এক ছাত্রী

সিয়াটলের মেরিসভিল পিলচুক হাইস্কুলে সহপাঠীর গুলিতে গুরুতর আহত এক ছাত্রীর মৃত্যু হল। আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রী গিয়া সোরিয়ানো রবিবার রাতে মারা গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।

সিয়াটলের মেরিসভিল পিলচুক হাইস্কুলের আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। ছবি: এএফপি।

সিয়াটলের মেরিসভিল পিলচুক হাইস্কুলের আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:৫৫
Share: Save:

সিয়াটলের মেরিসভিল পিলচুক হাইস্কুলে সহপাঠীর গুলিতে গুরুতর আহত এক ছাত্রীর মৃত্যু হল। আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রী গিয়া সোরিয়ানো রবিবার রাতে মারা গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।

গত শুক্রবার ওই স্কুলের জনপ্রিয়তম ছাত্র জেলেন ফ্রাইবার্গে গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে এখনও তিন জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সোমবার সকালে হাসপাতালের তরফে গিয়ার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করার সময় ওই ছাত্রীটির পরিবারের তরফে একটি বার্তাও শোনানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “এই ঘটনায় আমরা সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত। গিয়ার অভাববোধ কোনও শব্দেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।” প্রতিস্থাপনের জন্য ওই ছাত্রীর অঙ্গ দান করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রবিবার ওই স্কুলে একটি স্মরণ এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকেরাও।

গত শুক্রবার ফ্রাইবার্গ হঠাত্‌ই ক্যাফেটেরিয়াতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এক শিক্ষক তাকে ঠেকাতে গেলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় জেলেনের। পর পর আটটি গুলি চালায় সে। শেষ গুলিটি যদিও লাগে ওই কিশোরের গায়ে। শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতির জেরে নাকি নিজেকেই গুলি করে সে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই জেলেনের সঙ্গে মারা যায় আরও এক ছাত্র। গুলিতে গুরুতর জখম হয় চার জন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল গিয়া। বাকি যে তিন জন জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে জেলেনের দুই তুতো ভাই ১৪ বছরের নাতে হ্যাচ এবং ১৫ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু ফ্রাইবার্গও আছে। জখম অন্য ছাত্রীর নাম শেলী চুকুলনাসকিট। তিন জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। জেলেনের দাদু ডন হ্যাচের দাবি অনুযায়ী, সে তার বাবার বন্দুক হাতিয়েই সে দিন স্কুলের ক্যাফেটেরিয়াতে গুলি চালায়। তবে যাঁরা তাকে ভাল ভাবে চিনতেন, এমনকী, তার সহপাঠী-সহ স্কুলের শিক্ষকরাও বন্দুকবাজ জেলেনের সঙ্গে হাসিখুশি-প্রাণোচ্ছল জেলেনের কোনও মিল খুঁজে পাননি। হঠাত্‌ই এমন আক্রমণাত্মক কেন হয়ে উঠল ওই ছাত্র, তার ব্যাখ্যা এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE