রক্ষীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।
ছাত্রেরা ক্লাসে ফিরতে শুরু করেছিল আগেই। আর শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষী এবং শাসক দলের কিছু শিক্ষা-কর্মীর ‘পাহারায়’ অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। মাসখানেক আগে যে ছাত্রদের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগ করে ক্যাম্পাস থেকে পুলিশি প্রহরায় বেরিয়েছিলেন উপাচার্য, এ দিন সেই ছাত্রদেরই ‘পুত্রবত্’ আখ্যা দিয়ে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হবে তাঁদের এই কর্মসূচি। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলে যে তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না বৃহস্পতিবারই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকেন অভিজিৎবাবু। প্রত্যাশামতোই তাঁকে কোনও বাধাই দেননি আন্দোলনকারী ছাত্রেরা। উল্টে তাঁরাই ব্যারিকেড করে উপাচার্যকে ঢুকতে সাহায্য করেন। তবে বাধা না দিলেও বন্ধ ছিল না স্লোগান। অরবিন্দ ভবনে ঢোকার আগে একটি চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে পড়েন অভিজিৎবাবু। ছাত্রদের মধ্যে থেকে দু’জনকে ডেকে আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে যোগ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এর পর রক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে অফিসে ঢুকে যান উপাচার্য। কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, যে কোনও সময়ে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। আন্দোলন করাকে ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে তিনি দাবি করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে ১৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে কোনও শব্দই খরচ করেননি উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy