Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

কাঁকসায় মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

বর্ধমানের কাঁকসায় মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকসা থানার ক্যানাল পাড় এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই মহিলার আট এবং তিন বছরের দু’টি ছেলে রয়েছে। মাস চারেক আগে তাঁর স্বামী মারা যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:৩৪
Share: Save:

বর্ধমানের কাঁকসায় মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকসা থানার ক্যানাল পাড় এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই মহিলার আট এবং তিন বছরের দু’টি ছেলে রয়েছে। মাস চারেক আগে তাঁর স্বামী মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় ওই মহিলা বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময় তাঁর বাড়িতে আসে প্রতিবেশী যুবক কপিল পণ্ডিত। কপিল ওই মহিলার পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মূক ও বধির হওয়ার কারণে তিনি ঘটনার সময় চিত্কার করতে পারেননি। ওই রাতে সাহায্যের জন্যে বাড়ির পাশে সিপিএমের একটি পার্টি অফিসে ছুটে যান মহিলা। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে যান এলাকার বাসিন্দারাও। ওই পার্টি অফিস থেকে তাঁদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতেই কাঁকসা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযুক্ত যুবক কপিল পণ্ডিত এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। সিপিএম চক্রান্ত করে তাঁর ছেলেকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেন যুবকের বাবা রামধনি পণ্ডিত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এবং কাঁকসা জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল জানান, পার্টি অফিসের পাশেই ওই মহিলার বাড়ি। তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন বলেই তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। কাঁকসার যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী হয়েছে জানি না। তবে ঘটনার কথা সত্যি হলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” কাঁকসা থানার ওসি জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kanksha rape
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE