সোমবার কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হল উত্তম দোলুই (৪৫) নামে এক বাম কর্মীর। গত বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল কেশপুরে বামেদের মিছিলে হামলায় গুরুতর জখম তিনি।
এই ঘটনার পর ফের সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে জেলা সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএমের অভিযোগ, কেশপুর-সহ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে অবাধ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই নেই। লাগাতার সন্ত্রাস চালিয়েই নির্বাচন করতে চাইছে তৃণমূল। পুরো ঘটনা জেলা প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও জানিয়েছে সিপিএম।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এক জন পুলিশ সুপারকে সরিয়ে কী লাভ হল? তার পরেও কী অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করা গিয়েছে? সন্ত্রাসের যাবতীয় চিত্র তুলে ধরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার-সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন আধিকারিকের কাছেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থী সন্তোষ রানাকে নিয়ে মিছিলের পরই তৃণমূল ওই সমস্ত গ্রামে হামলা চালায়। তারই জেরে উত্তম দোলুই প্রাণ হারালেন বলে তাঁর দাবি। তাঁর অভিযোগ, প্রধান দুষ্কৃতীকে না-ধরে লোক দেখানো তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ওখানে একটা গ্রাম্য বিবাদ হয়েছিল শুনেছিলাম। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা কোনও রকম সন্ত্রাস করছি না। সন্ত্রাস সিপিএম করত। পঞ্চায়েত নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু ভাবে হয়েছিল, তেমনি লোকসভাও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে।”
কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার? ওই দিন সকালে দলীয় প্রার্থী সন্তোষ রানাকে নিয়ে মিছিল ছিল গোপীনাথপুর, কাঞ্চনতলা, কলকলী-সহ বিভিন্ন গ্রামে। দলীয় কর্মসূচি সেরে গ্রাম থেকে ফিরে যান বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। তার পরই দুপুর দেড়টা নাগাদ তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা গ্রামে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন সিপিএম সমর্থক আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় গোপীনাথপুর গ্রামের উত্তমবাবুকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ও পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার রাতেই সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy