মাও হামলায় বিধ্বস্ত অ্যাম্বুল্যান্স। ছবি: পিটিআই।
বস্তারে ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই ফের মাও হামলায় কেঁপে উঠল ছত্তীসগঢ়ের মাটি। শনিবার দু’টি পৃথক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ সিআরপিএফ জওয়ান এবং ৭ ভোটকর্মী। এ দিনের হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় দশ জন।
মাওবাদী দমন অভিযানের ভারপ্রাপ্ত ছত্তীসগঢ় পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আর কে ভিজ জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ রাজ্যের বিজাপুর জেলায় স্থানীয় কেতুলনার গ্রামে ভোটকর্মীদের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। ১০ এপ্রিলই বস্তারে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছিল নির্বাচন। প্রায় ৫২ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। বস্তারে নির্বিঘ্নে ভোট করিয়ে এ দিন রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিমি দূরে কুটরু থেকে বাসে করে গুড়মা ফিরছিলেন চারটি ভোটকেন্দ্রের ওই ভোটকর্মীরা। কেতুলনার গ্রামের কাছে ভোটকর্মীদের বাসটি পৌঁছতেই একটি পুকুরের ধারে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ‘অপরেশন’টি নিখুঁত করতে এর পর বাসটির উপর এলোপাথাড়ি গুলিও চালায় তারা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ছয় ভোটকর্মী। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও এক ভোটকর্মী। জখম হন পাঁচ জন। আহতদের উদ্ধার করতে একটি হেলিকপ্টারকে ঘটনাস্থলে পাঠান হয় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
অন্য দিকে এই হামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই রায়পুর থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরে দ্বিতীয় হামলাটি চালায় মাওবাদীরা। জগদলপুর জেলায় দরভা থানার অন্তর্গত স্থানীয় কামনার গ্রামে সিআরপিএফ জওয়ান বোঝাই একটি অ্যাম্বুল্যান্সের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। অ্যাম্বুল্যান্সটিতে সিআরপিএফ-এর ৮০ ব্যাটেলিয়নের ৯জন জওয়ান সওয়ার ছিলেন। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জওয়ান। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্সটির চালকও। আহত হয়েছেন ৫ জন। মৃতেরা হলেন সিআরপিএফ’র ইন্সপেক্টর এমকে রাই, সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর কান্তিভাই, হেড-কনস্টেবল সীতারাম এবং এম উমেশ, কনস্টেবল দীনেশ এবং অ্যাম্বুল্যান্স চালক বাসু সেথিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy