Advertisement
E-Paper

জেলে কুণালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হল তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের। এ দিন তাঁকে পরীক্ষা করলেন মনোচিকিত্‌সক ও মনোবিদদের নিয়ে গঠিত একটি দল। কুণালবাবুর চিকিত্‌সার জন্য এ দিন বেলা সওয়া এগারোটা নাগাদ এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান নির্মলেন্দু সরকার, ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-র মনোচিকিত্‌সক শিখা মুখোপাধ্যায় এবং এক জন মহিলা মনোবিদ কুণাল ঘোষকে দেখতে যান। সূত্রের খবর, মানসিক চিকিত্‌সক দেখে কুণাল রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। চিকিত্‌সকদের কাছেই তিনি বলতে থাকেন, তাঁকে পাগল প্রতিপন্ন করার জন্যই মনোচিকিত্‌সক ও মনোবিদদের পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৫৪
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হল তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের। এ দিন তাঁকে পরীক্ষা করলেন মনোচিকিত্‌সক ও মনোবিদদের নিয়ে গঠিত একটি দল।

কুণালবাবুর চিকিত্‌সার জন্য এ দিন বেলা সওয়া এগারোটা নাগাদ এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান নির্মলেন্দু সরকার, ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-র মনোচিকিত্‌সক শিখা মুখোপাধ্যায় এবং এক জন মহিলা মনোবিদ কুণাল ঘোষকে দেখতে যান। সূত্রের খবর, মানসিক চিকিত্‌সক দেখে কুণাল রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। চিকিত্‌সকদের কাছেই তিনি বলতে থাকেন, তাঁকে পাগল প্রতিপন্ন করার জন্যই মনোচিকিত্‌সক ও মনোবিদদের পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কী বলছেন চিকিত্‌সকেরা?

ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-র চিকিত্‌সকদের বক্তব্য, আত্মহত্যার চেষ্টা করার সময় থেকেই কুণাল ঘোষ মানসিক অবসাদ ও চাপে ভুগছেন। তাঁকে এর জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তিনি নিয়মিত তা খাচ্ছেন এবং ভাল আছেন। আত্মহত্যার চেষ্টার পরেই কুণালের কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো চিকিত্‌সকেরা এ দিন তাঁর ১৫ মিনিট ‘ইনডিভিজুয়াল সাপোর্টিভ সাইকোথেরাপি’ ও ৪০ মিনিট ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি’ করেন। এর উদ্দেশ্য হল রোগীকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করাতে সাহায্য করা। কিন্তু কুণাল যখন সিবিআই-কে মমতা-মুকুল নিয়ে তথ্য দিচ্ছেন, কাউন্সেলিংয়ের জন্য তখন এই সময়টাকেই বাছা হল কেন? চিকিত্‌সকদের জবাব, নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় তা হয়নি। এ বার থেকে কিছু দিনের ব্যবধানে তা নিয়মিতই করা হবে।

তবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্সি জেলে চিকিত্‌সক দল পাঠিয়ে কুণালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেও, পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের জন্য তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড এ দিনও বসাতে পারেননি। গত শুক্রবার আদালতে মদনবাবুকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ার রাতেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের বাতানুকূল কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে নানা রকমের পরীক্ষা চলছে মদনবাবুর। তাঁর ঠিক কী চিকিত্‌সা হবে তা স্থির করার জন্য গত সোমবার একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়। কিন্তু এখনও সেই বোর্ড বসল না কেন? এসএসকেএমের অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্রের জবাব, “মন্ত্রীর এমআরআই করা যাচ্ছে না। কারণ তাঁর দম আটকে যাচ্ছে। তাঁকে অজ্ঞান করে এমআরআই করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এর মধ্যে ২৫ তারিখ ছুটির দিন ছিল বলে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা যায়নি। সেটা শুক্রবার হয়েছে। তবে রিপোর্ট পেতে বিকেল হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার টিএমটি টেস্টের জন্য মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই টেস্টের জন্য রোগীকে কিছুটা জগিং করতে হয়। কিন্তু মন্ত্রী তা করতে পারেননি। তাই ওই টেস্টও করা যায়নি। মেডিক্যাল বোর্ডও এ দিন বসেনি।”

kunal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy