এক মাস ধরে অনুপস্থিত থাকায় এক ছাত্রীকে আর পড়াবেন না বলে কোচিং থেকে বের করে দিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক। কেন তিনি এমন কাজ করেছেন তা জানতে এসে ওই গৃহশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল ছাত্রীটির দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে বালির নিশ্চিন্দা থানার পিএন কলোনির ঘটনা। অন্য দিকে, ছাত্রীটির পরিবারও ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পিএন কলোনির বাসিন্দা উত্তম ঘোষ প্রাইভেটে ইংরাজি পড়ান। এ বছরের জানুয়ারি মাসে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন সাহার মেয়ে সোনালি সাহা তাঁর কোচিংয়ে ভর্তি হয়। মেয়েটি বালিরই একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। উত্তমবাবু বলেন, “ভর্তির পর থেকে সময় মতো টিউশন ফি দিত না। কিন্তু তা নিয়ে আমি কখনও কিছু বলিনি।” তিনি জানান, গোটা এপ্রিল মাসে এক দিনও সোনালি কোচিংয়ে আসেনি। এমনকী, না আসার কোনও কারণও জানায়নি।
উত্তমবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন সকালে সোনালি আবার পড়তে আসে। এক মাস কেন পড়তে আসেনি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ছাত্রীটি কোনও উত্তর দেয়নি বলেই দাবি ওই শিক্ষকের। তখন তিনি ওই ছাত্রীকে আর পড়াবেন না বলে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহশিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ছাত্রীটি বাড়ি চলে যাওয়ার পরে তার বাবা প্রথমে এসে জানতে চান, কেন মেয়েকে পড়ানো হয়নি। এর পর ছাত্রীর মা শিপ্রাদেবী ও দাদা সুমন সাহা পিএন কলোনিতে উত্তমবাবুর বাড়িতে এসে হাজির হন। কেন পড়ানো হবে না বলা হয়েছে এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। উত্তমবাবু ও সুমনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। অভিযোগ তখনই সুমন ঘুষি মেরে ওই শিক্ষকের ডান চোখ ফাটিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy