ঠান্ডা থেকে বাঁচতে। অমৃতসরে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জেরে কাবু জম্মু-কাশ্মীর।
রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জায়গায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের বেশ খানিকটা নীচে ঘোরাফেরা করছে। রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কার্গিলে। সেখানে পারদ নেমে গেছে হিমাঙ্কের প্রায় ১৫.৬ ডিগ্রি নীচে। রাজধানী শ্রীনগরে পারদ নেমেছে ৫.৬ ডিগ্রিতে। গুলমার্গের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩ ডিগ্রির আশেপাশে। উত্তরের কুপওয়ারায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের প্রায় ৬ ডিগ্রি নীচে। অন্য দিকে, লেহতে পারদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে হিমাঙ্কের ১৫.২ ডিগ্রিতে।
তবে কবে এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই মিলবে, সে বিষয়ে ভূস্বর্গের বাসিন্দাদের কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। প্রতি বছর ক্যাসপিয়ান সাগর থেকে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান হয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রবেশ করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আর এর জেরেই কাশ্মীরে তুষারপাত ও বৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহকে কাশ্মীরি ভাষায় ‘চিল্লাই কালান’ বলে। আগামী ৪০ দিন এই পরিস্থিতি চলবে। তার পরের কুড়ি দিন চলবে ‘চিল্লাই খুর্দ’। আর তার পরের দশ দিন ‘চিল্লাই বাচা’। প্রত্যেক বছর ‘চিল্লাই কালানে’র প্রথম দিকে ভারী তুষারপাত হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর তুষারপাত বা বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অন্য দিকে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবও। অমৃতসরে তাপামাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম। হরিয়ানার নরনউলে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাতিয়ালায় স্বাভাবিকের তুলনায় পারদ নেমেছে ৩.৪ ডিগ্রি নীচে। চণ্ডীগড়ে তাপামাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩ ডিগ্রির আশেপাশে। ঠান্ডার পাশাপাশি প্রবল কুয়াশাতেও বিপর্যস্ত পঞ্জাব এবং হরিয়ানার জনজীবন।
শৈত্যপ্রবাহে কাবু মহরাষ্ট্রের নাগপুরও। এখানে তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রিতে। গত ৪৫ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিন মহারাষ্ট্রে এই শৈত্যপ্রবাহ জারি থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy