বারাণসীতে ভোটারদের লাইন। ছবি: এএফপি।
কাশীধাম সরগরম!
শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনে দেশের অন্যতম আলোচিত কেন্দ্র এই বারাণসী। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী, আপ-এর অরবিন্দ কেজরীবাল এবং কংগ্রেসের অজয় রাই— লড়াই মূলত ত্রিপাক্ষিক হলেও এই কেন্দ্র বস্তুত ক্ষমতার ভরকেন্দ্র বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারাণসীর বিভিন্ন বুথে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নাদেসার, রামনগর, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বুথগুলিতে ছিল লম্বা লাইন। ভোটদানের নিরিখে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকেও ছাপিয়ে গেল বারাণসী। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বারাণসীতে ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ। ২০০৯-এ এ সময় পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৪৩ শতাংশের কম।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বারাণসী দক্ষিণ কেন্দ্রে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আপের তরফে অবশ্য কয়েকটি জায়গায় বুথ দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে হাই প্রোফাইল কেন্দ্র বলেই হয়তো বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বারাণসীর। অভিযোগ, সোমবার এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই দলীয় প্রতীকের ব্যাজ লাগিয়ে ভোট দিতে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৬ ও ১৩০ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। তবে অজয় রাইয়ের মন্তব্য, “হাত চিহ্ন আমার হৃদয়ে আঁকা আছে।” তিনি বলেন, মোদী নিজস্বীতে পদ্মফুল প্রতীক দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা পরে আছেন মাত্র।
এ দিন সকালেই আর্দালি বাজার এলাকার বুথে ভোট দিয়েছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর যোশী। বারাণসী মোদীর দখলে থাকবে বলে মন্তব্য করলেও, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিনি মন্ত্রী হবেন কি না— সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে নিজেকে ‘ভূমিপুত্র’ বলে দাবি করে অজয় রাই বলেছেন, বারাণসী মোদীকে গ্রহণ করবে না। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আপের প্রার্থীও। “অজয় রাই নয়, বারাণসীতে মোদীর সঙ্গেই আসল লড়াই”, বলেছেন কেজরীবাল। আপ যে এখানে জিতবে, সে ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাসী তিনি। “বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার দ্বিমুখী লড়াই।” বলেছেন কেজরীবাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy