হাওড়ার একটি জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদের মামলায় আলিপুর-কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কটাক্ষ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাওড়ায় পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির অধীন একটি জমি থেকে দখলদার তুলতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের প্রবল বাধার মুখে পড়েছিল পুলিশ। জমির মালিক গনেশ চন্দ্র সাধুখাঁ জমি উদ্ধারে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট হাওড়া জেলা প্রশাসনকে ওই জমি দখলমুক্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলে। সোমবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ভরতলাল মীনা ওই রিপোর্ট নিয়ে এ দিন হাজির ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অশোক দাস অধিকারীর এজলাসে।
রিপোর্ট পেশ করে সরকারি আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রথমে পিছু হঠলেও পরে পুলিশ কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করেনি। জমি দখলমুক্ত করতে স্থানীয় যারা বাধা দিয়েছিল তাদের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি। পুলিশ কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতারও করেছে।
পুলিশ সুপারের রিপোর্ট পড়ার পরেই বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী আলিপুরে হামলার ঘটনা টেনে আনেন। সেখানেও সরকারি সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। ঘটনার জেরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা আলিপুর থানায় হামলা চালান। কাচ ভাঙেন। নিজেদের বাঁচাতে পুলিশকর্মীদের ফাইল মাথায় টেবিলের তলায় গিয়ে লুকোতে হয়। বিচারপতি সেই প্রসঙ্গ টেনে সরকারি আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, “খবরের কাগজে ছবি দেখেছেন? পুলিশ ফাইল মাথায় দিয়ে লুকনোর চেষ্টা করছে। তা হলেই বুঝুন এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে।” সরকারি আইনজীবী আদালতে আরও জানান, কী ভাবে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়েছিল, তার ভিডিও ফুটেজও তোলা হয়েছে। বিচারপতির কাছে রিপোর্ট পেশের পাশাপাশি ওই ভিডিও ফুটেজও জমা দেওয়া দেন সরকারি আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy