ম্যাচে এই ভাবেই গ্রিস ডিফেন্সের কাছে আটকে গিয়েছেন ওকুবো-রা। ছবি: গেটি ইমেজেস।
অভাবনীয় কিছু না ঘটলে এ বারেও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ফিরতে হচ্ছে এক সময়ের ইউরো চ্যাম্পিয়ন গ্রিসকে। নাতালে জাপানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে নিজেদের গ্রুপে চার নম্বরে চলে গেল তারা। ফলে শেষ ম্যাচে কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে বিরাট ব্যবধানে জিতলে তবেই নক আউটে যাওয়ার সামান্য আশা থাকবে তাদের। অন্য দিকে, গ্রুপ সি-এর প্রথম দল হিসাবে নক আউটে পৌঁছে গেল কলম্বিয়া।
কলম্বিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচে হারলেও বৃহস্পতিবার জাপানের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসাবেই শুরু করেছিল গ্রিস। ৪-৩-৩ ছকে খেলে জিততে চাইছিল বিশ্বকাপে শেষ সাত ম্যাচের একটি মাত্র ম্যাচে জেতা ইউরোপের এই দলটি। অন্য দিকে, ওসাকোকে একমাত্র স্ট্রাইকার রেখে ৪-২-৩-১ ছকে শুরু করেছিল জাপান। কিন্তু খেলা যত গড়াতে থাকে ততই রক্ষণাত্মক হতে শুরু করে স্যান্টোসের ছেলেরা। জাপানের আক্রমণে নিমেষে ৪-৩-৩ থেকে ৫ ডিফেন্ডারে চলে যায় গ্রিস। মাঝমাঠে তখন ওকাজাকি-ওকুবোদের দাপট। এই সময়ে মাত্র ন’মিনিটের ব্যাবধানে দু’বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাটসৌরানিস। দশ জনের গ্রিসকে পেয়ে বিপক্ষ বক্সে লোক বাড়াতে থাকে ব্লু সামুরাইরা। পরিস্থিতি সামলাতে ৪১ মিনিটের মাথায় কারাগৌনিসকে নামান স্যান্টোস। জাতীয় দলের হয়ে ১৩৭তম ম্যাচ খেলতে নামা অভিজ্ঞ কারাগৌনিস নামতে কিছুটা স্বস্তী ফেরে গ্রিস শিবিরে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে জাপান। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় খোলা যায়নি গোলমুখ। ৬৯ এবং ৭১ মিনিটে সিটার মিস করেন ওকুবো এবং উচিদা। অতিরিক্ত আক্রমণে যাওয়ায় প্রতি আক্রমণে বেশ কিছু ভাল সুযোগ পায় গ্রিস-ও। তবে গোল করতে পারেনি কোনও পক্ষই।
এ দিন ম্যাচে আগাগোড়া দাপট দেখায় ব্লু সামুরাইরা। প্রায় ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও গ্রিসের ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি তারা। গোটা ম্যাচে গ্রিসের তুলনায় তিন গুন বেশি পাস খেলেছে ইয়ামাগুচি-হাসেবেরা। কিন্তু এত কিছু করেও স্ট্রাইকারদের ব্যার্থতায় এ দিন ডুবতে হল সামুরাইদের। ফলে নক আউটের রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল তাঁদের কাছে। পরের রাউন্ডে যেতে হলে পরের ম্যাচে কলম্বিয়াকে শুধু হারালেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের উপরেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy