নেপালের সিন্ধুপালচক জেলায় প্রবল ধসে মৃত্যু হল আট জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোরে, রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় ৭৫ কিমি দূরে সিন্ধুপালচক জেলার মানখা গ্রামে। পুলিশের মুখপাত্র গণেশ কে সি জানান, শনিবার ভোরে আচমকাই ধসে পড়ে প্রায় ২৪টি বাড়ি-সহ একটি বিরাট টিলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে আটটি দেহ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশের যৌথবাহিনী। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ।
ধসের কবলে পড়ে পাথর আটকে ব্যাহত হচ্ছে সুনকোশি নদীর স্বাভাবিক গতিপথ। এর ফলে আড়াই কিমি লম্বা এবং প্রায় ১৩০ মিটার গভীর একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। জল বইছে গ্রামের মধ্যে দিয়ে। তিব্বত ও কাঠমাণ্ডুর সংযোগকারী রাস্তা আরানিকো জাতীয় সড়কের উপর দিয়েও জল বইছে। ক্রমশ বাড়ছে জলস্তর। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হড়পা বাণের আশঙ্কায় এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ষোলো জনকে। উদ্ধারকার্য তদরকিতে একটি সেনা কপ্টার নিয়োগ করা হয়েছে। এখনও জলে ডুবে রয়েছে শতাধিক বাড়ি। আরিনাকো জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে পড়ে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন।
নিকটবর্তী বারহাবিশে, লামেসাঙ্ঘু, খাদিচৌর, দোলালঘাট এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকাটিকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যটক দুর্ঘটনাস্থলে আটকে নেই বলে জানা গিয়েছে। তবুও পর্যটকদের সম্বন্ধে কোনও খবর পেলেই পর্যটন সংস্থা, ট্যুর অপরেটরদের জানাতে বলা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন নেপালের ট্রেকিং গোষ্ঠীর প্রধান রমেশ ধামালা।
উদ্ধারকার্য চালাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং বিপ্যরয় মোকাবিলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy