Advertisement
E-Paper

পুরুলিয়াতে বিক্ষিপ্ত অভিযোগের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ১৭:৪৪

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ চললেও বুধবার পুরুলিয়াতে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে।

বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ঘাটবেড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মণিকা মাহাতোর বিরুদ্ধে অনুমতিপত্র ছাড়াই বেশ কয়েকটি বুথের ভিতর ঢুকে পড়ার অভিযোগ ওঠে। মণিকাদেবীর বাড়িও ওই এলাকায়। যে বুথগুলিতে তিনি ঢুকেছিলেন তার কোনওটিরই ভোটার নন তিনি। ওই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। বলরামপুরের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুভাস দাস প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওই কর্মী। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতো যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “ওঁর বাড়ি যে হেতু ওই এলাকায়, তাই ভোট কেমন হচ্ছে তা দেখতেই বেরিয়েছিলেন সভাপতি। ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।”

অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলরামপুরের বিডিও সুচেতনা দাস। তিনি বলেন, “সভাপতির বিরুদ্ধে ওই এলাকার ভোটার না-হওয়া সত্ত্বেও বুথে ঢোকার অভিযোগ রয়েছে।” পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সুকেশকুমার মাইতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পুলিশের কাছে মণিকাদেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে, পুরুলিয়া শহরের একটি বুথের ভেতর রাজ্য পুলিশের এক এএসআই-এর উপস্থিতিকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকী, ওই পুলিশকর্মীকে ভর্ৎসনাও করেন কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষক। পরিস্থিতি সামলাতে জেলাশাসককে হস্তক্ষেপ করতে হয়। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী জানান, এ দিন সকালে গাঁধী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পৌঁছয় প্রশাসনের কাছে। নতুন ইভিএম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রশাসনের কর্মীরা দেখেন পুরনোটি ঠিকই আছে। পাল্টানোর কোনও প্রয়োজন নেই। বুথ থেকে কর্মীরা যখন বেরিয়ে আসছেন, তখন ওই দলের এক সদস্যকে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন, তিনি বুথের ভেতরে কী করছেন? রাজ্য পুলিশের ওই এএসআই ভিনভাষী জওয়ানদের বোঝাতে অসমর্থ হন তিনি ইভিএম নিয়ে আসা দলের এক জন সদস্য। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওই কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষক কৃপানন্দ ত্রিপাঠী উজেলা। তাঁর সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী। জেলাশাসক বলেন, “ভাষাগত কারণেই একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। পরে দু’পক্ষই বিষয়টা বুঝতে পেরে মিটিয়ে নিয়েছেন।”

এ দিন সকালে পুরুলিয়ার ১ নম্বর ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রামে কংগ্রেসের এক এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই গ্রামেই রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর বাড়ি। যদিও পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ওই এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। ভোটগ্রহণ শুরু হতেই জেলার ঝালদা এবং সাঁওতালডিহির দু’টি বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। পরে তা পাল্টে দেওয়া হয় বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।

purulia loksabha election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy