ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দফায় দফায় হামলা চালাল বুনো হাতির দল।
বন দফতর সূত্রে খবর, ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে ৭০টি হাতির একটি দল ফালাকাটা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে পড়ে। মধ্যরাত পর্যন্ত পাশাপাশি তিনটি গ্রামে তাণ্ডব চালায় ওই হাতির দল। ১২টিরও বেশি বাড়ি ভাঙে। প্রচুর ফসলও নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের কথায়, গ্রামের ধানক্ষেত ও কলাবাগানগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমা করে রাখা ফসলও খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে বুনো দাঁতালেরা। পরে বনকর্মীদের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আবার জঙ্গলে ফিরে যায় তারা। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
গ্রামের বাসিন্দা বিলাস মুণ্ডা বলেন, “মাঝে মাঝেই বুনো হাতির দল ঢুকে গ্রামে তাণ্ডব চালায়। কাল যখন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম, দেখি দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকছে এক দাঁতাল। আমার খাট ভেঙে দেয়। হাতি ঢুকতে দেখে ভয়ে আমি পালিয়ে যাই।”
ওই দিন রাতেই আলিপুরদুয়ারেও হামলা চালায় অন্তত ২৭-২৮টি হাতির একটি দল। বন দফতর সূত্রে খবর, রাত ১২টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার-১ নম্বর ব্লকের পাঁচলাখাওয়া গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় ওই হাতির পাল। জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তোর্সা নদী পেরিয়ে গ্রামে ঢোকে তারা। রাতভর গোটা গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় বুনো দাঁতালেরা। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এদের মধ্যে ৬টি হাতির একটি দল ভোরের দিকে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা কৈলাস বর্মনের ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এই দলে পূর্ণবয়স্কদের সঙ্গে বাচ্চারাও ছিল বলে জানিয়েছেন কৈলাসবাবু। পরে গ্রামবাসীরাই পটকা ফাটিয়ে, ক্যানেস্তারা পিটিয়ে পশ্চিম সিমলাবাড়ির পিছনে চিলাপাতার জঙ্গলে হাতির দলকে তাড়া করে নিয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের ও নজরুল ইসলাম বলেন, “রাতের বেলা হাতি ঢোকার খবর পেয়ে আতঙ্কে ছিলাম। কখন কোথা থেকে হাতি ঢুকবে তা বোঝা যাচ্ছিল না। খবর দিয়েও বনকর্মীদের দেখা পাওয়া যায়নি।”