এক মূক বধির মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে বড়তলা থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপি দাস এবং উত্তম বাকুলি। বাড়ি কাঁকুড়গাছিতে। তাঁদের গাড়িটিকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কি ঘটেছিল রবিবার সন্ধ্যায়? পুলিশ সূত্রে খবর, মূকবধির স্বামী-পরিত্যক্তা ওই মহিলা কাঁকুড়গাছি এলাকায় বিভিন্ন লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। কাঁকুড়গাছির একটি বস্তিতে নিজের বাচ্চা এবং ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। অন্যদিকে, এই দুই অভিযুক্ত কাঁকুড়গাছিরই অন্য একটি বস্তিতে থাকে এবং গাড়ি চালানোর কাজ করে। এ দিন সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় তাঁর বাড়ির কিছুটা অদূরে বাগমারি রোডে একটি টাটা সুমোয় ওই দুই অভিযুক্ত তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে নেয়।
গাড়িটি বি কে পাল অ্যাভিনিউ এবং যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ ক্রসিং পার হওয়ার সময় নজরে পড়ে বড়তলা থানা এলাকার টহলরত পুলিশ অফিসারদের। গাড়ির মধ্যে থেকে মহিলার চিৎকারের আওয়াজ শুনে তাঁরা গাড়িটিকে থামান। গাড়িতে ওই মহিলা কি করে এলেন, তা চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, মহিলা নিজেই মানিকতলা থেকে গিরীশ পার্ক পর্যন্ত যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছিলেন। কিন্তু মহিলার অবস্থা এবং হাবভাব দেখে ওই বক্তব্য অসঙ্গতিপূর্ণ ঠেকে অফিসারদের কাছে। এরপর মহিলা পুলিশ-সহ পুলিশকর্মীদের তত্ত্বাবধানে ওই মহিলা-সহ তিনজনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়। মহিলার বক্তব্য বোঝার জন্য ডাকা হয় একজন ইশারা ভাষা অনুবাদককে। তিনি মহিলার সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ঘটনা জেনে পুলিশকে জানালে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। জানা যায়, মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল ওই দুই ব্যক্তি। গাড়িটি চালানোর সময়ে মদ্যপ অবস্থাতেও ছিল ওই দু’জন। এরপরই ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।