বেআইনি কয়লা বোঝাই লরির ধাক্কায় বোলপুরে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। মৃতের নাম শুভ্রসপ্ত চট্টোপাধ্যায় (১৭)। সে পাঠভবনের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বোলপুরের চিত্রা মোড়ের কাছে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি দিনের মতো এ দিনও শহরের শান্তিনিকেতন রোড দিয়ে সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিল শুভ্রসপ্ত। চিত্রা মোড়ের কাছে এসে রাস্তার ধারে সহপাঠীদের জন্য অপেক্ষা করছিল সে। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা কয়লা বোঝাই একটি ছোট লরি ধাক্কা মারে তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এর পরেই উত্তেজিত জনতা ঘাতক লরিটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দেহ আটকে চলতে থাকে পথ অবরোধ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের একটি ইঞ্জিন। উত্তেজিত জনতা বাধা দেয় তাদেরও। কিছু পরে দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গিয়েছে লরিটি। এর পর পুলিশকেও দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে বোলপুরের আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘণ্টাখানেক পরে উঠে যায় অবরোধও। অভিযুক্ত লরিচালক এবং খালাসি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোলপুর শহরে চোরাই কয়লা পাচার নিত্য দিনের ঘটনা। প্রতি দিন সকালেই দেখা যায় কয়লা ভর্তি একাধিক ছোট-বড় লরি দ্রুত গতিতে শহরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ নিয়ে থানায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশের চোখের সামনেই এই পাচার চলে বলে অভিযোগ তাঁদের। এ দিনের দুর্ঘটনাও পুলিশের সামনেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের আরও দাবি, দুর্ঘটনার পর দেহ না সরিয়ে প্রথমে ঘাতক লরিটিকেই সরাচ্ছিল পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। খোঁজ চলছে পলাতক খালাসি ও লরিচালকেরও।