চতুর্থ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। আসানসোলের বারাবনি থেকে মেদিনীপুরের নারায়ণগড় সর্বত্রই বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এই সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল।
বুধবার ভোটের দিন সকালে নারায়ণগড়ের তুতুরাঙায় স্থানীয় সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সামান্য বচসাও হয় দুই পক্ষের। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তত্পরতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে গেলেও ভোট শেষ হওয়ার পরে রাতেই সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হমলা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাড়ি ভাঙচুড় থেকে মহিলাদের শ্লীলতাহানী বাদ যায়নি কিছুই। পুলিশের কাছে ওই দিন রাতেই মৌখিক ভাবে অভিযোগ করা হয় সিপিএমের তরফ থেকে। নারায়ণগড়ের সিপিএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ রাণা বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা আমাদের উপর সকালেই আক্রমণ করেছিল, কিন্তু তখন পুলিশ থাকার ফলে রাতে এসে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করে, বাড়ি ভাঙচুড় করে।” হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দ জানান, “দুপুরে পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে দু’দলের বচসা হয়েছিল ঠিকই। তবে রাতের হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সকালের কৃতকর্ম ধামা চাপা দিতেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম।”
একই রকম রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে আসানসোলেও। জেলার সালানপুর, বারাবনিতে বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করে সিপিএম। তবে এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy