প্রায় সাড়ে সাত বছর তিনি ছিলেন জেলের ভেতরে। বুধবার শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেলেন গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন ডিআইজি ডি জি বানজারা। চারটি ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার। এ দিন সবরমতী জেলের বাইরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন তাঁর প্রায় শ’খানেক সমর্থক।
২০০৫ সালের ১৫ জুন আমদাবাদ শহরের বাইরে অপরাধ দমন শাখার একটি দলের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছরের কলেজ ছাত্রী ইশরাত জহান ও তাঁর তিন সঙ্গী প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলি রানা ও জিশান জোহর। গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল, পাক জঙ্গি দল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইশরাতরা। পুলিশের দাবি ছিল, গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তদন্তের পরে ওই মামলায় পিপি পাণ্ডে ও ডিজি বানজারা-সহ একাধিক পুলিশ এবং গোয়েন্দাকে চার্জশিট দেয় সিবিআই। জানায়, ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে ইশরাত ও তাঁর সঙ্গীদের।
গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার তৎকালীন প্রধান ডিজি ছিলেন বানজারা। তিনি ইশরাত জহান, সোহরাবউদ্দিন, তুলসীরাম প্রজাপতি-সহ চারটি ভুয়ো সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল সোহরাবুদ্দিন সংঘর্ষ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারও হন তিনি। জামিন মিললেও আদালত জানিয়েছে, গুজরাতে প্রবেশাধিকার নেই তাঁর। নেই দেশ ছাড়ার অনুমতিও। প্রত্যেক শনিবার করে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সেই সময় বরখাস্ত হওয়ার পরে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার সময় বানজারা বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, “আমাকে এবং আমার অফিসারদের জেলে আটকে রেখে সিবিআই-এর হাত থেকে নিজেদের চামড়া বাঁচাতে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতেই ব্যস্ত এই সরকার।” আর এ দিন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেক রাজ্যের পুলিশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু, গুজরাত পুলিশ রাজনীতির শিকার। এক দিন নয়, গত আট বছর ধরেই এই রীতি চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy