ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে এ বার বিসিসিআইকে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। গুরুনাথ মইয়াপ্পনের বিরুদ্ধে বিসিসিআই কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে সে প্রসঙ্গেও জানতে চাওয়া হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। দুপুর ২টোর মধ্যে এই সম্পর্কে বিসিসিআইকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। এ দিন বোর্ডের সামনে চারটি অপশন রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
সেগুলি হল—
• শ্রীনিবাসনকে বাদ দিয়ে গঠিত বিসিসিআইয়ের একটি কমিটি মইয়াপ্পনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
• মইয়াপ্পনের শাস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিল।
• মইয়াপ্পনের শাস্তির বিষয়টি দেখার জন্য দু’জন বিচারককে নিয়োগ করা হবে।
• মইয়াপ্পনের কী শাস্তি হবে তা ঠিক করবে মুদগল কমিটি।
বোর্ডের সামনে এই চারটি অপশন রেখে তাদের মতামত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। মইয়াপ্পনের শাস্তি প্রসঙ্গে বোর্ডও সুপ্রিম কোর্টকে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। সেখানে বলা হয়—
• বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বিষয়টি দেখবে।
• দুই বিশেষজ্ঞের এক কমিটিকে মনোনীত করবে বিসিসিআই।
• আদালত শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি নিয়োগ করতে পারে।
• শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে মুদগল কমিটি।
দু’পক্ষের মতামত জানার পর এ দিনের মতো শুনানি স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার।
প্রশাসকের ভূমিকায় না থাকা সত্ত্বেও তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন-এর বৈঠকে যোগ দেওয়া যে শ্রীনির উচিত্ হয়নি সে বিষয়টিও এ দিন জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে সূত্রের খবর, শ্রীনি এ বিষয়ে তাঁর ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন। সোমবার ফের ‘স্বার্থের সংঘাত’ নিয়ে শ্রীনিবাসনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি যে যুক্তি খাড়া করেন তা মেনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। গড়াপেটা কাণ্ড নিয়ে সব জানা সত্ত্বেও এক জন প্রশাসক হিসাবে তিনি কেন চুপ ছিলেন সে প্রসঙ্গেও তাঁকে ভর্তসনা করা হয়। পাশাপাশি, বোর্ডের যে সব সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাঁদের বাদ দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।