নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভার গঠনের দিনেও বিজেপি-শিবসেনা জট কাটল না। সম্প্রসারিত এই মন্ত্রিসভায় শিবসেনার অনিল দেশাইয়ের শপথগ্রহণের কথা ছিল। সময়মতো তিনি দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলের নির্দেশে তাঁকে দিল্লির বিমানবন্দর থেকেই মুম্বইয়ে ফিরে যেতে হয়। শিবসেনার তরফ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে অনিল দেশাইয়ের নাম পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে জরুরি তলব করে শিবসেনা মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ‘বয়কট’ করায় রাজনৈতিক জটিলতা আরও বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিবসেনা সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় তাদের ভূমিকা ঠিক করতে এ দিন সন্ধ্যায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলের একমাত্র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি অনন্ত গীতেরও এই বৈঠকে হাজির থাকার কথা। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও কথা হতে পারে।
শনিবারই অনন্ত গীতে জানিয়েছিলেন মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় শিবসেনা অংশ নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে এ দিন মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে মুম্বই থেকে সোজা দিল্লিতে উড়ে আসেন। অনিলে দেশাই এ দিন শপথ না নিলেও শিবসেনার ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও শপথ নিয়েছেন সুরেশ প্রভু। শুধু তাই নয়, যে চার জন পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন সুরেশ প্রভু তাঁদের মধ্যে এক জন। সূত্রের খবর, শপথগ্রহণের আগে সুরেশ প্রভু শিবসেনা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে শিবসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অনিলে দেশাই তাদের অনুমোদিত প্রতিনিধি, সুরেশ নন।
শনিবার উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “আগামিকাল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পরই দলের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” সন্ধ্যার এই বৈঠকের পর শিবসেনা-বিজেপির সম্পর্কে বরফ গলে কি না সেটাই এখন দেখার।