বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মুরগির খামারে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক খামার-মালিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই খামারের মালিক বছর তিরিশের শ্যামাপদ দাসকে। ধৃতকে শনিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে এ দিন সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “ধর্ষণের একটা অভিযোগ হয়েছিল। আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ওই কিশোরী বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় খড়ি পুকুরের কাছে ওই কিশোরীর পথ আটকে তার সঙ্গে গল্প করতে শুরু করে ওই খামার-মালিক। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় শ্যামাপদর সঙ্গে কথা বলতে দ্বিধা করেনি ওই কিশোরী। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এর পরে গল্পচ্ছলে ওই কিশোরীকে তার খামারে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
রাতেই ওই কিশোরীকে দাঁতন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই কিশোরীর জেঠু শ্যামাপদ দাসের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy