চার জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল নাবালিকার পরিবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’জন অভিযুক্ত ধরা পড়লেও বাকি দু’জন অভিযুক্ত এখনও ফেরার।
গণধর্ষণের ঘটনা অভিযুক্তেরা ভিডিয়োতে রেকর্ডিং করেছে বলে পুলিশকে অভিযোগ করেছিল ওই নাবালিকা। তবে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে এবং মোবাইল পরীক্ষা করে এমন কোনও তথ্য উদ্ধার হয়নি বলে দাবি পুলিশের। সম্ভবত ওই রেকর্ডিং মুছে দেওয়াও হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। তথ্য উদ্ধার করার জন্য সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অন্য দিকে, সোনারপুরের অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকাকে গত ২৭ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডেকে এনে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধৃতদের জেরার পর পুলিশের দাবি।
ওই নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার দিন কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিচিত সুজয় ওই নাবালিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, মোবাইলে সব ছবি তুলে রাখে বলে অভিযোগ। পরের দিনও ওই ছবি দেখিয়ে শাসানি দিয়ে ফের তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করে নাবালিকা। ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার সকালে সুজয় চট্টোপাধ্যায় ও সুরজিৎ সর্দার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনকে আগে থেকেই চিনত ওই নাবালিকা। চতুর্থ জনকে দেখলে চিনতে পারবে বলে জানিয়েছে সে। ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy