পুড়ে ছাই দোকানঘর। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ভোটের দিন ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক হানাহানির খবর আসতে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে এক বিজেপি কর্মীর গুমটি ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটল একই দিনে। পাণ্ডবেশ্বরের জামাই পাড়ার এবিপিটে গুমটি দোকান রয়েছে বিজেপির মণ্ডল ১-এর মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রিনা ঠাকুরের। সূত্রের খবর, তিনি মাস ছ’য়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে যান। অভিযোগ, তার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে দলবদল করে আবার তৃণমূলে ফেরার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। রিনার দাবি, তাঁকে এ জন্য মারধরও করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ তিনি থানায় জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রিনার। তিনি বলেন, ‘‘রাত ২টো নাগাদ আমাকে প্রতিবেশী তুলসি বাউড়ি ডেকে তুলে বলে, ওঠো ওঠো তোমার গুমটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা তাড়াহুড়ো করে ছুটে আসি। দেখি আমার দোকান দাউদাউ করে জ্বলছে। সবাই মিলে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পুলিশও আসে। ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছে। দোকানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব শেষ হয়ে গিয়েছে।’’
রিনার দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে রিনা বলেন, ‘‘সন্তোষ পাসওয়ান নামে তৃণমূলের মস্তান আমার পিছনে লেগে রয়েছেন প্রথম থেকে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমার উপর বিভিন্ন অত্যাচার করছেন। আমাকে বহু বার প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সন্তোষ। মাসখানেক আগে ওঁর দলবল এসে আমাকে মারধর করে গিয়েছে। আমি থানাতেও এই অভিযোগ করেছিলাম। রাতে আমার দোকানটাই জ্বালিয়ে দিল।’’
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগুন লাগার খবরটি আমার কাছে ছিল না। খবর নিয়ে দেখছি কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy