Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

‘বিশ্বে তোলাবাজির সব চেয়ে বড় চক্র হল নির্বাচনী বন্ড, মোদী তার মূলচক্রী’! অভিযোগ করলেন রাহুল

সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি ‘অসাংবিধানিক’ বললেও নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে সওয়াল করে সংবাদ সংস্থাকে মোদী জানান, ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই ওই ব্যবস্থা (নির্বাচনী বন্ড) চালু করা হয়েছিল।

(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৪৯
Share: Save:

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবির জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কেরলে ভোটপ্রচারে গিয়ে সোমবার রাতে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ড আদৌ কোনও স্বচ্ছতার কর্মসূচি নয়, বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় তোলাবাজির চক্র। আর নরেন্দ্র মোদী তার মাস্টারমাইন্ড (মূল চক্রী)।’’

প্রধানমন্ত্রী মোদী সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুপ্রিম কোর্টের নাম না-করে নির্বচনী বন্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল!’’ তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী বন্ড না থাকলে কেউ জানতেই পারত না কোন সংস্থা, কত টাকা কোন দলকে দিচ্ছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি ‘অসাংবিধানিক’ বললেও নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে সওয়াল করে সংবাদ সংস্থাকে মোদী জানান, ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই ওই ব্যবস্থা (নির্বাচনী বন্ড) চালু করা হয়েছিল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যদি সৎ প্রতিফলন দেখা যায়, সকলেই এক দিন এ নিয়ে অনুশোচনা করবে।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনওই বলিনি একটি সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।’’

এর পরেই কেরলে কংগ্রেসের ভোট প্রচারে অংশ নেওয়া রাহুল কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসকদলকে। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার পরে শাসকদলের তহবিলে নির্বাচনী বন্ডের অনুদান ঢুকেছে। কী ভাবে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে, তা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।’’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে যেন ওই বন্ড দেওয়া বন্ধ করে তারা। এর পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিল এসবিআই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকরও নির্বচনী বন্ডকে ‘সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE